
The Truth of Bengal: লোক জনশক্তি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগের সঙ্গে বিহারে আসন রফা চূড়ান্ত করে ফেলল বিজেপি। তাঁর দল এলজেপিতে ছাড়া হচ্ছে পাঁচটি আসন। বুধবার দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে চিরাগের বৈঠকের পরে এই রফা চূড়ান্ত হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। কাকা ভাইপোর লড়াইটা শুরু হয়েছিল ২০২১-এর মাঝামাঝি। রামবিলাস পাসওয়ানের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরাধিকার নিয়ে ঝামেলায় দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় লোকজনশক্তি পার্টি। একদিকে ছিলেন রামবিলাসের ভাই পশুপতি পারস, আরেকদিকে রামবিলাসের ছেলে চিরাগ পাসওয়ান। পশুপতি পারসের সঙ্গে ছিলেন দলের ৬ সাংসদের পাঁচ জনই। আর চিরাগ ছিলেন একা। সেসময় বিজেপি পশুপতির পাশে দাঁড়ায়।
কিন্তু ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন আসতে আসতে সম্ভবত বিজেপি বুঝে গিয়েছে তাঁদের সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। পশুপতির সঙ্গে সাংসদরা থাকলেও জনগণ চিরাগের পাশেই। সেকারণেই লোকসভার লড়াইয়ে চিরাগকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে তাঁর সঙ্গেই আসনরফা সারল গেরুয়া শিবির। বুধবার জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর আসন সমঝোতার কথা ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। রফা অনুযায়ী, চিরাগের দল এলজেপিকে ছাড়া হচ্ছে পাঁচটি আসন।
তাঁর কাকা তথা রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টির নেতা পশুপতিকুমার পারসের জন্য কোনও লোকসভা আসন ছাড়া হচ্ছে না। তাঁকে কার্যত রাজ্য রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। জামুয়ের বিদায়ী সাংসদ চিরাগ এবার পশুপতির আসন হাজিপুরে লড়বেন। আর পশুপতিকে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসাবে রাজ্যপাল হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি। তাঁর দলের আরেক সাংসদ তথা চিরাগের তুতো ভাই প্রিন্স রাজকে বিহার সরকারের মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এলজেপি-র দুই শিবিরকে মিলিয়ে দেওয়ার জন্য বিজেপির এই উদ্যোগ সফল হলে দলের পুরনো নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘর’ নির্বাচন কমিশন ফিরিয়ে দিতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।