
Truth Of Bengal: ভারতীয়-আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ২৮৬ দিন পর পৃথিবীর মাটি স্পর্শ করেছেন বুধবার ভোর রাতে। সপ্তাহ খানেকের জন্য মহাকাশ সফরের কথা থাকলেও শেষপর্যন্ত তা বাড়তে বাড়তে ৯ মাস পেরিয়ে যায়। ফলে বাড়ছিল উদ্বেগ। গোটা বিশ্বের সঙ্গে উদ্বেগ বেড়েছিল গুজরাটের ঝুলাসন গ্রামেও।
কারণ, এই গ্রামেই যে শিকড় রয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসের। গত কয়েকমাস ধরে মুহ্যমান হয়ে ছিল সেই গ্রাম। অবশেষে সমস্ত উদ্বেগের অবসান। পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন সুনীতা উইলিয়ামস। গোটা বিশ্বের সঙ্গে আজ মেতে উঠেছে গুজরাটের ঝুলাসন গ্রাম।
পিতৃকুলের শিকড়ে সুনীতার যোগ ভারতে। তাই তিনি ‘বাড়ি’ ফিরতেই আনন্দে আত্মহারা তাঁর পৈতৃক গ্রাম ঝুলাসন। গুজরাটের ওই গ্রামের সাধারণ মানুষ পথে নেমে আসেন উদযাপন করতে। তাঁদের দেখা গিয়েছে আতশবাজি ফাটিয়ে উৎসবে মাততে।
মহাকাশে আটকে থাকার পর নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে গুজরাটের ঝুলাসনে তাঁর পৈতৃক গ্রাম সুনীতার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছে। বুধবার গ্রামবাসীরা প্রার্থনা ও আরতি করে তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তন উদযাপন করেছিলেন। বুধবার সুনীতা পৃথিবীতে ফিরতেই গ্রামবাসী নাচতে শুরু করেন। পোড়ানো হয় আতশবাজি।
ঝুলাসনের গ্রামবাসীদের জন্য বুধবার ছিল এক বিশেষ দিন, আনন্দের মুহূর্ত। মঙ্গলবার রাত থেকেই গ্রামবাসীরা আতশবাজি জ্বালিয়ে এবং নাচ করে তার পৈতৃক গ্রামের একটি মন্দিরের কাছে তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তন উদযাপন করেছিলেন।
নাসার লাইভ-স্ট্রিম দেখার সময় অনেককেই উল্লাস করতে দেখা গিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার, সুনিতার খুড়তুতো ভাই দীনেশ রাওয়াল আহমেদাবাদে তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য একটি ‘যজ্ঞ’ আয়োজন করেছিলেন।
দীনেশ রাওয়াল গুজরাটের আহমেদাবাদের বাসিন্দা। এএনআই-কে তিনি বলেন, ‘সুনীতা পৃথিবী বদলে দেবেন, কারণ তিনি একজন সাধারণ মানুষ নন। সুনীতা ফেরার পরই আমরা আনন্দে লাফিয়ে উঠি। আমি কতটা খুশি হয়েছি তা বলে বোঝাতে পারব না। মঙ্গলবার পর্যন্ত, আমার হৃদয়ের গভীরে এক অস্থির অনুভূতি ছিল। ঈশ্বর আমাদের প্রার্থনা শুনেছেন এবং আমাদের সুনিকে নিরাপদে ফিরিয়ে এনেছেন।’