দেশ

সরকারি কর্মীর বাড়িতে টাকার পাহাড়! তল্লাশি হতেই জানলা দিয়ে নোটের বান্ডিল ছুড়লেন রাস্তায়

A mountain of money was found in a government employee's house! After being searched, he threw a bundle of banknotes out the window onto the street

Truth Of Bengal: ওড়িশায় আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে তল্লাশি চালাতে গিয়ে এক সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করল ভিজিল্যান্স দফতর। অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারের নাম বৈকুণ্ঠনাথ সারাঙ্গি। তিনি রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দফতরে মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা বাড়ি পৌঁছোতেই ওই ইঞ্জিনিয়ার জানলা থেকে রাস্তায় টাকা বান্ডিল ছুড়ে ফেলতে শুরু করেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। শুক্রবার সকালে অভিযান শুরু হয়। সূত্রের খবর, বহু দিন ধরেই সারাঙ্গির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। সেই ভিত্তিতেই আঙ্গুল জেলার ভিজিল্যান্স আদালতের নির্দেশে তাঁর বিভিন্ন সম্পত্তিতে তল্লাশি চালান ভিজিল্যান্সের আধিকারিকেরা। অভিযানে অংশ নেন আট জন ডেপুটি পুলিশ সুপার, ১২ জন ইনস্পেক্টর, ছ’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর-সহ বহু আধিকারিক।

এরপরেই তারা সকলে মিলে যান ভুবনেশ্বরের বাড়িতে। তল্লাশি অভিযান শুরুর পরই ইঞ্জিনিয়ার বৈকুণ্ঠনাথ সারাঙ্গি আতঙ্কে জানলা দিয়ে একের পর এক টাকা ভর্তি বান্ডিল রাস্তায় ছুড়ে ফেলতে থাকেন। ৫০০ টাকার সেই বান্ডিলগুলি রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে, যা দেখে স্থানীয় বাসিন্দারাও হতবাক হয়ে যান। ভিজিল্যান্স সূত্রে জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে আপাতত প্রায় দু’কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে ভুবনেশ্বরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা, এবং আঙ্গুল জেলার বাড়ি থেকে আরও এক কোটিরও বেশি নগদ। টাকা গোনার জন্য আনা হয় বিশেষ যন্ত্র।  ইতিমধ্যেই বিপুল টাকার ভিডিও সামনে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, তদন্তকারি অফিসাররা নগদের স্তূপ গুনছেন।  বিশেষ করে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডেল, এর সাথে কিছু ২০০, ১০০ এবং ৫০ টাকার নোটের বান্ডেলও আছে।

এই বিপুল সম্পত্তির উৎস নিয়ে তদন্তে নেমেছে ভিজিল্যান্স। শুধু ভুবনেশ্বর ও আঙ্গুলই নয়, পুরীর পিপিলি ও সিউলায় ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাট, তাঁর আত্মীয়ের বাড়ি, পৈতৃক ভিটে ও অফিসেও চলছে তল্লাশি।তবে কিভাবে এল এই হিসাব বহির্ভূত টাকা তা স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীদের অনুমান, উদ্ধার হওয়া নগদের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এখনই স্পষ্ট নয় সারাঙ্গির প্রকৃত সম্পত্তির পরিমাণ। তবে প্রাথমিক তদন্তে যা ছবি উঠে এসেছে, তা যথেষ্ট চমকপ্রদ এবং উদ্বেগজনক। সরকারি আধিকারিকের বাড়ি থেকে এভাবে টাকা উদ্ধার হওয়ায় রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক ও ক্ষোভ। ভিজিল্যান্স দফতর জানিয়েছে, অভিযানের পরে সম্পত্তির সম্পূর্ণ বিবরণ ও আইনানুগ পদক্ষেপের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

Related Articles