দেশ

২৪ শে পূরণ হল ৩৩, শ্রদ্ধাঞ্জালি কংগ্রেস পরিবারের  

Rajiv Gandhi

The Truth of Bengal: মবুদুরে একটি নির্বাচনী প্রচারে এলটিটিই ক্যাডারদের দ্বারা আত্মঘাতি বোমা বিস্ফোড়নে নিহত হন। রাজীব গান্ধীর ৩৩-তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানান খাড়গে, রাহুল, সোনিয়া। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ৩৩-তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানালেন খাড়গে, রাহুল, সোনিয়া। মঙ্গবার রাহুল গান্ধী একটি এক্সবার্তায় লিখেছেন, পাপা, আপকে স্বপ্নে, মেরে স্বপ্নে, আপকে আকাঙ্ক্ষায়েঁ, মেরি জিম্মেদারিয়াঁ। আপকি ইয়াদেঁ, আজ অউর হামেশা, দিল মে সদা। মল্লিকার্জুন খাড়্গে লিখেছেন, ভারতকে শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তাঁর কথা মানুষ চিরকাল মনে রাখবেন। রাজীব গান্ধী ছিলেন ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। তিনি ইন্দিরা নেহেরু ও ফিরোজ গান্ধীর জ্যেষ্ঠ পুত্র। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর মায়ের মৃত্যুর দিন মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে তিনি দেশের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেন।

১৯৮৯ সালের ২ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে পরাজয়ের পর পদত্যাগ করার আগে পর্যন্ত তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতিতে পদার্পণের পূর্বে রাজীব ছিলেন ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের এক পেশাদার বিমানচালক। কেমব্রিজে থাকাকালীন ইতালীয় বংশোদ্ভুত সোনিয়া মাইনোর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এবং পরে ১৯৬৮ সালে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মা দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও, ১৯৮০ সালে কনিষ্ঠ ভ্রাতা সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত রাজীব রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন। ১৯৮৪ সালে অপারেশন ব্লু স্টারের প্রতিক্রিয়ায় আততায়ীর হাতে ইন্দিরা গান্ধী নিহত হলে জাতীয় কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ রাজীবকেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে। ১৯৮৪ সালে তার নেতৃত্বে কংগ্রেস সংসদের ৫৪২টি আসনের ৪১১টিতে জয়লাভ করে।

এই জয় ছিল ভারতীয় সংসদে কংগ্রেসের সর্বকালের রেকর্ড। রাজীব গান্ধী লাইসেন্স প্রথা, শুল্ক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য অনুমতি প্রদানের নিয়মনীতি ঢেলে সাজান; টেলিযোগাযোগ ও শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ তথা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিসাধন প্রভৃতি নানা কাজ শুরু করেন। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত রাজীব গান্ধী ছিলেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি। এই বছরই একটি নির্বাচনী জনসভায় জনৈক এলটিটিই জঙ্গির আক্রমণে নিহত হন তিনি। ১৯৯৮ সালে তাঁর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেস সভানেত্রী নির্বাচিত হন এবং ২০০৪ সালে তাঁর নেতৃত্বে কংগ্রেস লোকসভায় জয়লাভ করে। তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধী সংসদ তথা সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক। মৃত্যুর পর রাজীব গান্ধীকে ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়। উল্লেখ্য, তার মা ইন্দিরা গান্ধীও ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন।