দেশ

 নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ ২২ জন মাওবাদীর

22 Maoists surrender to security forces

Truth Of Bengal: মাও-মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে অভিযানের ঝাঁজ বাড়তেই আত্মসমর্পণের পথ ধরল মাওবাদীরা। শুক্রবার ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে অন্তত ২২ জন মাওবাদী। তবে তাদের মধ্যে ১২ জন ৪০.৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। এই প্রসঙ্গে সুকমার এসপি চহ্বাণ জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণকারী ক্যাডারদের মধ্যে রয়েছেন মাওবাদীদের মাড ডিভিশনের পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি) কোম্পানির এক নম্বর ডেপুটি কমান্ডার মুচাকি জোগা (৩৩) এবং তাঁর স্ত্রী মুচাকি যোগী (২৮)।  এনারা দুজনে একই স্কোয়াডের সদস্য। বাকিদের মধ্যে ছিলেন কিকিদ দেব (৩০) এবং মনোজ ওরফে দুধি বুধরা (২৮)। এনারা  দুজনেই মাওবাদীদের অঞ্চল কমিটির সদস্য। প্রত্যেককে ৫ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।

সুকুমারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সাতজন আত্মসমর্পণকারী ক্যাডারের প্রত্যেককে ২ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, আর একজন নকশালকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), সিআরপিএফ এবং এর এলিট ইউনিট কোবরা তাদের আত্মসমর্পণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। আত্মসমর্পণকারী সমস্ত মাওবাদীদের  প্রত্যেককে ৫০,০০০ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৩০ মার্চ বিজাপুর জেলায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন ৫০ জন মাওবাদী। এদের মধ্যে চোদ্দো জনের মাথার দাম ৬৮ লক্ষ টাকা। এছাড়াও চলতি মাসে তেলেঙ্গানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ৮৬ জন মাওবাদী সদস্য। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ২০ জন মহিলা ক্যাডার। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ছত্তিশগড়ে আত্মসমর্পণ করল ১২ জন মাওবাদী।

উল্লেখ্য,  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশকে মাওবাদী মুক্ত করার ডাক দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো চাপে পড়েছে মাওবাদীরা। সেই লক্ষ্যেই ছত্তীসগঢ়ে চলছে একের পর এক অভিযান। এ বছরেই মাওবাদী দমন অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৪০ জন মাওবাদী। তারমধ্যে বস্তার ডিভিশন থেকে ১২৩ জন নিকেশ হয়েছে। শুধু তাই নয় চলতি বছর অনেক শীর্ষ নেতাই নিকেশ হয়েছেন।   সেইসঙ্গে অনেক মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে। ২০২৪ সালে সুকমা-সহ সাতটি জেলা নিয়ে গঠিত বস্তার অঞ্চলে ৭৯২ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছিল।  বলা বাহুল্য, মাওবাদী সমস্যা এখন মূলত ছত্তিশগঢ়েই রয়েছে। তাই সেখানে প্রতিনিয়ত যৌথভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে আধা সামরিক বাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ। আর তাতেই মিলছে সাফল্য।

Related Articles