ডুবন্ত আগ্নেয়গিরির সন্ধান পেলেন ২ ভারতীয় বিজ্ঞানী
2 Indian scientists discovered the Drowning volcano

The Truth of Bengal,Mou Basu: অসাধ্য সাধন করলেন ২ ভারতীয় বিজ্ঞানী। আন্দামান সাগরের নীচে ডুবন্ত আগ্নেয়গিরির সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। আন্দামান সাগরের নীচে সক্রিয় ডুবন্ত আগ্নেয়গিরি বা অ্যাক্টিভ সাবমেরিন ভলক্যানো (Crater Seamount) এর সন্ধান পেয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশেনোগ্রাফির ২ বিজ্ঞানী সিনিয়র সায়েন্টিস্ট শ্রীরাম গুল্লাপল্লী ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট পবন দেওয়াঙ্গান।২০০৭ সালে প্রথম বার আন্দামান সাগরের নীচে সিসমিক জোনের খোঁজ পান বিজ্ঞানীরা। জাভা-সুমাত্রা অঞ্চল প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয়বলয় অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত। এই অঞ্চলে সুনামি, ভূমিকম্প খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। সুনামি, ভূমিকম্পের ফলে যে কোনো সময় সক্রিয় ডুবন্ত আগ্নেয়গিরি ঘুম ভেঙে জেগে উঠে লাভা উদগীরণ করতে পারে।
আগে থেকে বোঝা মুশকিল কখন বিপর্যয় ঘটবে।ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওসেনোগ্রাফির ২ বিজ্ঞানী শ্রীরাম গুল্লাপল্লী ও পবন দেওয়াঙ্গান আন্দামান সাগরে ডুবন্ত আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে গ্যাস বেরোতে দেখেছিলেন। ডুবন্ত আগ্নেয়গিরি আন্দামান নিকোবর ভলক্যানিক আর্কের মধ্যে অবস্থিত। পুনরায় তাঁরা ২০২১ সালে একই জায়গায় গিয়ে গবেষণা চালান ও নিশ্চিত হন যে আন্দামান নিকোবর ভলক্যানিক আর্ক অঞ্চলে একটি সক্রিয় ডুবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। তাঁদের গবেষণাপত্র আন্তর্জাতিক জার্নাল “Geo-Marine Letters” এ প্রকাশিত হয়েছে।বিজ্ঞানী শ্রীরাম গুল্লাপল্লী জানান, আন্দামান সাগরের নীচে কোনো ডুবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে কিনা তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওশেন সায়েন্টিস্টদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ ছিল।
২০০৪ সালে ভূমিকম্প ও সুনামির পর আমাদের মধ্যে এনিয়ে উৎসাহ আরো বাড়ে। ২০০৭ সালের নভেম্বরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওসেনোগ্রাফির আমরা কয়েক জন বিজ্ঞানী মিলে আন্দামান সাগরের নীচে হাই রেজোল্যুশন মাল্টি-বিম ইকো সাউন্ডিং (এমবিইএস) সমীক্ষা চালাই। এক জোড়া ডুবন্ত আগ্নেয়গিরির সন্ধান পাই। ২০১৪ সালে ওশেন বটম সিসমোমিটার সমীক্ষা চালানো হয়। লো ফ্রিকোয়েন্সি লাভা উদগীরণ ও কম্পন রেকর্ড করা হয়। ২০১৮ ও ২০২১ সালে আরো ২ বার অভিযান চালানো হয়। ৩টি মুখ যেখান থেকে নিরন্তর গ্যাস বেরোচ্ছে এমন সন্ধান পেয়েছি আমরা। ”
Free Access