
The Truth of Bengal: বসন্তের শেষ লগ্নেই দাপটে ব্যাটিং শুরু করে দিয়েছে গ্রীষ্ম। সূয্যিমামার গনগনে আঁচে পুড়ছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। পুড়ছে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিদর্ভ, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। এখনই পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই। নয়াদিল্লির মৌসম ভবন জানাচ্ছে এখনই সুরাহা মেলার কোনো সম্ভাবনা নেই। মৌসম ভবন শুক্রবারই সতর্ক বার্তা জারি করে জানিয়েছে, শনিবারও তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি চলবে গাঙ্গেয় বঙ্গ ছাড়াও ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিদর্ভ, উত্তর কর্নাটক, উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা, ইয়ানাম ও রায়ালসীমা অঞ্চলে। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে গাঙ্গেয় বঙ্গের দুয়েকটি জায়গায় ছাড়াও তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কেরালা, অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, ত্রিপুরা ও অরুণাচল প্রদেশে। বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ও তুষারপাত হতে পারে দার্জিলিংয়ের পার্বত্য অঞ্চলে ও সিকিমে।
বেশ কয়েক দিন ধরে গাঙ্গেয় বঙ্গের পাশাপাশি তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি চলছে কর্নাটক, রায়ালসীমা ও অন্ধ্রপ্রদেশে। বেঙ্গালুরু-সহ উত্তর কর্নাটকের ৬টি জেলার জন্য চরম সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবারও তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি চলবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের মতো পশ্চিমাঞ্চলের ৪ জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় গরম অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। একান্ত প্রয়োজন না থাকলে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাড়ির বাইরে থাকতে নিষেধ করছে হাওয়া অফিস। শুক্রবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ৩৬.৭ ডিগ্রিতে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.১ ডিগ্রি বেশি। দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল পানাগড়ে। সেখানে পারদ ওঠে ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, স্বাভাবিকের চেয়ে ৫.৪ ডিগ্রি বেশি। পুরুলিয়াতেও স্বাভাবিকের চেয়ে ৫.৪ ডিগ্রি বেশিতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যগুলির জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানান, এল নিনোর প্রভাবে এপ্রিলের গোড়া থেকে দেশের অনেক জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হিট স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।weather