
The Truth of Bengal,Mou Basu: শীতের ওম গায়ে মাখা বাঙালির কাছে সবচেয়ে পছন্দের সবজি বলতে বোঝায় কড়াইশুঁটি। পুজোর সময় থেকে রাজ্যে হিমের পরশ টের পাওয়া যাচ্ছে। একইসঙ্গে বাজারে দেখা মিলছে সবুজ সবুজ টাটকা কড়াইশুটির। শীতে কড়াইশুঁটির কচুরি পছন্দ করে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। দারুণ পুষ্টিকর কড়াইশুঁটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। হৃদরোগের সমস্যা আর ক্যানসার প্রতিরোধেও সক্ষম কড়াইশুঁটি। কড়াইশুঁটিতে থাকা কুমেস্ট্রল পাকস্থলীর ক্যানসার প্রতিরোধ করে।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় নিয়মিত কড়াইশুঁটি খেলে কমে ক্যানসারের ঝুঁকি। গ্রিন পিজে থাকা স্যাপোনিনস প্রস্টেট ক্যানসার-সহ বিভিন্ন রকমের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।কড়াইশুঁটি বা গ্রিন পিজ আনাজ নয়, তা লেগিউম বা ডালের পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।
বৈজ্ঞানিক নাম Pisum sativum। টাটকার পাশাপাশি ফ্রোজেন অবস্থাতেও বিক্রি হয় কড়াইশুঁটি। কড়াইশুঁটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট (স্টার্চ বা শর্করা)। আলু, ভুট্টা বা স্কোয়াশের মতোই প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ আছে। আধ কাপ কড়াইশুঁটিতে ৬২ ক্যালরি থাকে। এর ৭০%-ই কার্বোহাইড্রেট, বাকিটা প্রোটিন, ফাইবার ও স্বল্প পরিমাণে ফ্যাট।এছাড়া আছে ভিটামিন এ, কে, ই ও সি, থায়ামিন, ক্যাটেচিন, এপিক্যাটেচিন, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা আর ফসফরাস। আধ কাপ গাজরে যেখানে মেলে মাত্র ১ গ্রাম প্রোটিন, সেখানে সম পরিমাণ কড়াইশুঁটিতে মেলে ৪ গ্রাম প্রোটিন। এছাড়া আছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কড়াইশুঁটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন আর জিয়াজ্যান্থিন যা চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
ছানি রোধ করে আর ম্যাকুলার ডিজেনারেশন আটকায়।কড়াইশুঁটিতে থাকা ফেরুলিক, ক্যাফেইক অ্যাসিড, ক্যাটেচিন, এপিক্যাটেচিন কমায় ডায়াবেটিস, হৃদরোগ আর আর্থারাইটিজের আশঙ্কা। নিরামিষাশীরা কড়াইশুঁটি থেকে পান প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকায় আর প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার থাকায় নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তের শর্করার মাত্রা। ফাইবার থাকায় খাবার হজম করতে সাহায্য করে কড়াইশুঁটি। কোলোন ক্যানসার, ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম, ইনফ্লেমটরি বাওয়েল ডিজিজের মতো রোগ প্রতিরোধ করে গ্রিন পিজ।কড়াইশুঁটিতে আছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো বিভিন্ন খনিজ পদার্থ উচ্চ রক্তচাপ আর কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, হার্ট ভালো রাখে। এছাড়া ফ্ল্যাভোনলস, ক্যারোটেনয়েডস, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের আর স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।