লাইফস্টাইলস্বাস্থ্য

পুষ্টিতে ভরপুর চিজ! কী হয় জানেন চিজ খেলে?

Health benefits cheese

The Truth of Bengal,Mou Basu: মস্তিষ্কের বন্ধু হল চিজ। জাপানি গবেষকদের একটি দল সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখেছেন নিয়মিত চিজ খেলে কমে ডিমেনশিয়া, অ্যালঝাইমার্সের মতো স্মৃতিভ্রংশ নানান রোগ, পারকিনসন্সের মতো মস্তিষ্কের নানান জটিল কগনিটিভ ব্যাধি।৬৫ বছর বা তার ঊর্ধ্বে থাকা দেড় হাজারের বেশি মানুষের ওপর গবেষণা চালান জাপানি গবেষকরা। গবেষণায় দেখা গেছে যাঁরা নিয়মিত চিজ খেয়েছেন তাঁরা কগনিটিভ টেস্ট অর্থাৎ মনে রাখার ক্ষমতা, চিন্তা করার ক্ষমতা ও আচার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে ভালো পারফর্ম করেছেন। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খেয়ে মস্তিষ্কের কার্যকারিতার ওপর তার কী প্রভাব পড়ছে তা নিয়ে গবেষণা চালান জাপানের Gaon Research Centre এর গবেষক হিউনকিয়ুঙ কিমের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল। যাঁদের ওপর গবেষণা চালানো হয় তাঁদের মধ্যে সিংহভাগ লোক জানান যে তাঁরা নিয়মিত চিজ খেয়েছেন। চিজ খাওয়া ব্যক্তিদের বিএমআই (বডি মাস ইন্ডেক্স) কম ছিল। রক্তচাপ স্বাভাবিক, হাঁটার গতিও দ্রুত ছিল। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি রক্তের কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রাও ছিল।

কেন স্বাস্থ্যকর চিজ?
পুষ্টিতে ভরপুর চিজে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফ্যাট আর প্রোটিন। দস্তা, ফসফরাস, রাইবোফ্লেভিন ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও বি১২ আছে। চিজ খেলে দাঁতের ক্ষয় বা ক্যাভিটি হওয়া আটকায়। হাই ফ্যাটযুক্ত চিজে প্রচুর পরিমাণে কনজুগেটেড লিনোলেইক অ্যাসিড পাওয়া যায় যা ওবিসিটি বা স্থুলতা ও হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে। ফোলা ভাব কমায়। চিজে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে।তবে চিজে প্রচুর পরিমাণে নুন থাকে তাই উচ্চ রক্তচাপ থাকলে চিজ খাওয়া বিপদের। এছাড়াও চিজে ফাইবার না থাকায় তা কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা তৈরি করে। চিজ খাওয়া হাড়ের ক্ষয় রোগ বা অস্টিওপরোসিস আটকাতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খেলে দূর হয় অস্টিওপরোসিস হওয়ার আশঙ্কা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ৫০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে বয়সীদের প্রতিদিন ৪০০-৫০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খেতে পরামর্শ দেয়।যাদের দেহের ওজন কম তারা নিয়মিত চিজ খেলে স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বাড়বে। এক গ্রাম চিজে ১০০ ক্যালরি রয়েছে। চিজ হল হাই ডেনসিটি ফুড।

তাই চিজ খেলে অন্য বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাবেন না। ডায়েটে অবশ্যই রাখুন এমন শাকসবজি, ফলমূল যার ক্যালরি কম।চিজে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে তাই চিজ খেলে পেশি শক্ত হয়। ত্বক ও চুল উজ্জ্বল হয়। লো সোডিয়াম চিজের সঙ্গে নিয়মিত বেশি পটাসিয়াম পাওয়া যায় এমন খাবার খেলে হাইপারটেনশনের সমস্যা দূর হয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।চিজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও ল্যাকটিক অ্যাসিড আছে যা মারণ রোগ ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। চিজে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।কে ভিটামিন রক্ত জমাট বেঁধে রাখতে সাহায্য করে। বয়স্কদের স্মৃতিভ্রংশ রোগ হওয়া আটকায় তেমনই রক্তের ক্যানসারও প্রতিরোধ করে। হার্ড চিজে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন কে আছে। চিজ খেলে কমে থাইরয়েডের রোগও।

Free Access

Related Articles