রাতে বুকে চাপ অনুভব করছেন, বমিবমি ভাব, নিঃশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে, আপনি ‘ওয়াটার পয়েজনিং’ আক্রান্ত নন তো?
Feeling chest pressure at night, nausea, difficulty in breathing, are you not suffering from 'water poisoning'?

The Truth of Bengal : সম্প্রতি আমেরিকার টেক্সাসের বাসিন্দা জন পুটনাম নামে ৭৪ বছরের এক বৃদ্ধ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বুকে তীব্র চাপ, নিঃশ্বাসের কষ্ট, বুকে ব্যথা, বমিবমি ভাব অনুভব করেন। চিকিৎসকরা প্রথমে ভেবেছিলেন ওই বৃদ্ধ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করানো হয়। পরে নানান রকম পরীক্ষা করে দেখা যায়, হার্ট অ্যাটাক নয় ওই বৃদ্ধ ‘ওয়াটার পয়েজনিং’-র শিকার হয়েছেন। সাবধান না হলে আপনিও কিন্তু হতে পারেন ওয়াটার পয়েজনিংয়ের শিকার। বেশি পরিমাণে জল খেলে আর সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকলে ওয়াটার পয়েজনিংয়ের সমস্যা হয়।
ওয়াটার পয়েজনিংয়ের আরেক নাম হল ওয়াটার ইনটক্সিকেশন বা হাইপার হাইড্রেশন। রক্তের ইলেকট্রোলাইটের মাত্রার অনুপাতে বেশি পরিমাণে জল খেলে রক্তে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ইলেকট্রোলাইট হল সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ যা শরীরে ফ্লুইডের ভারসাম্য বজায় রাখে। স্নায়ু ও পেশির কার্যকারিতা ঠিক রাখে। আমরা যখন জল খাই, অতিরিক্ত জল কিডনি ফিল্টার করে বের করে দেয়। অতিরিক্ত জল প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। বেশি পরিমাণে জল খেলে কিডনির কার্যকারিতা ব্যাহত হয়। শরীরে ফ্লুইড ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
ওয়াটার পয়েজনিংয়ের উপসর্গ কী কী?
বারেবারে বমি হওয়া, বমিবমি ভাব, মাথার যন্ত্রণা, চিন্তাভাবনায় অসুবিধা, আচার আচরণে অসামঞ্জস্য, ক্লান্তিভাব, পেশির দুর্বলতা, হাত ও পায়ে খিঁচ লাগা, খিঁচুনি, কোমা।
সাধারণত দিনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ২ লিটার জল খাওয়া দরকার বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। ২০১৫ সালে Clinical Journal of Sports Medicine এর এক গবেষণায় দেখা যায় অ্যাথলিটদের মধ্যে ওয়াটার পয়েজনিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কারণ তাঁরা অল্প সময়ের মধ্যে শরীরকে আর্দ্র রাখতে বেশি পরিমাণে জল খান। এছাড়াও কিডনি ও হার্টের অসুখ থাকলে বেশি পরিমাণে জল খেলে ওয়াটার পয়েজনিংয়ের আশঙ্কা বাড়ে। ছোট শিশুদের বেশি পরিমাণে জল খাওয়ালে এই সমস্যার আশঙ্কা বাড়ে। তাই বারেবারে অল্প পরিমাণে জল খাওয়া দরকার।