স্বাস্থ্য

বেশি করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন, জানেন কী ক্ষতি ডেকে আনছেন নিজের ?

Are you using more hand sanitizer, do you know what harm you are causing yourself?

The Truth Of Bengal, Mou Basu : করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। হাইজিন মেন্টেন করতে অর্থাৎ হাত বা ব্যবহৃত জিনিসপত্র পরিষ্কার ও জীবাণু মুক্ত রাখতে আমরা সকলেই কমবেশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছি। করোনার প্রকোপ কমলেও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার বন্ধ হয়নি। বাড়ির বাইরে বেরলে এখনো আমরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখি। কিন্তু জানেন কি জীবাণু মুক্ত থাকার বাসনায় অজান্তেই আমরা আরও বিপদ ডেকে আনছি। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশকে থাকা বিষাক্ত রাসায়নিক অনেকক্ষণ জামাকাপড় বা আসবাবপত্রে থাকে তা ধীরে ধীরে আমাদের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম বা স্নায়ুতন্ত্রকে অকেজো করে দেয়। মস্তিষ্কের সাপোর্টিভ কোষকে ধ্বংস করে দেয়।

গবেষণা চালান Ohio র Case Western Reserve University এর মলিকিউলার বায়োলজিস্ট এরিন কোহন ও তাঁর গবেষক দল। বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষা করে তাঁরা ১৮২৩টি বিষাক্ত পদার্থ পেয়েছেন। মস্তিষ্কের বিশেষ করে সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে থাকে ওলিগোডেনড্রোসাইট নামক কোষ যা আমাদের দেহের স্নায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে। স্নায়ুর চারপাশে মাইলিন শিল্ড বা রক্ষাকবচ তৈরি করে এই বিশেষ কোষ। কোনোভাবে এই কোষ নষ্ট হলে স্নায়ুর থেকে পাঠানো সিগনাল দেরিতে পৌঁছোয় অথবা একেবারে প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মতো জীবাণুনাশকে ২ রকমের বিষাক্ত ক্ষতিকারক রাসায়নিক পেয়েছেন যা এই বিশেষ কোষের মিউটেশন আটকে দিতে পারে।

মিউটেশন না হলে নতুন কোষ জন্মাবে না। ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম, মস্তিষ্ক ও অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। এসব ক্ষতিকর টক্সিন রাসায়নিক ত্বকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। ‘

Related Articles