
The Truth Of Bengal : লন্ডন-ভিত্তিক অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিবৃতির পর ছড়াচ্ছে নতুন আতঙ্ক। বিপদে পড়ছেন কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন গ্রহণকারীরা। সামনে আসছে কিছু যুবকের হৃদপন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ।
২০১৯ থেকে ২০২০ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মারন ভাইরাসকে দমনের একমাত্র অস্ত্র ছিল কোভিশিল্ড। এই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের মাধ্যমে বিশ্বকে এক নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন বৈজ্ঞানিকরা। তবে এবার সামনে উঠে আসছে সেই vaccin এর নানা প্রতিক্রিয়া। দশ লাখের মধ্যে ৭ – ৮ জন যারা এই vaccine গ্রহণ করেছেন তারা পড়তে পারেন একটি বিরল রোগ ‘থ্রম্বোসিস’ এর কবলে। তবে ভারতের শীর্ষ মহামারী বিশেষজ্ঞ ও প্রাক্তন আইসিএমআরের বিজ্ঞানী ডঃরমন গঙ্গাখেদকর জানিয়েছেন,যাঁরা এই ভ্যাকসিন পেয়েছেন তাঁদের কোনও জীবনের ঝুঁকি নেই। তবে কিছু বিজ্ঞানীরদের ধারণা এই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি দ্বিতীয় এবং তৃতীয়র তুলনায়।
ব্রিটেনের এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে, ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা, যেখানে বলা হয়েছে কোভিড ভ্যাকসিন এ রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি খুবই কম। কিছু ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সামান্য কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে মানব শরীরে। তবে তা মানব শরীরে স্বাস্থ্যগতভাবে কোন প্রভাব ফেলবে না। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের মুখ্য বিজ্ঞানী ডঃ রমন গঙ্গাখেদকর জানিয়েছেন,ভ্যাকসিন চালু হওয়ার ৬মাসের মধ্যে টিটিএস অ্যাডোনোভাইরাস ভেক্টর ভ্যাকসিনের একটি বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে স্বীকৃত হয়েছিল। তবে তা অতি সামান্য।
ভারতীয় জনসংখ্যার প্রায় ৯০% লোকেরাই এই টিকা ব্যবহার করেছেন। তবে কোভিশিল্ড এর ভয়ানক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখার সম্ভাবনা রয়েছে 10 লাখ মানুষের মধ্যে কেবলমাত্র ৭ থেকে ৮ জন মানুষের শরীরে। তবে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে যে মানুষের প্রাণ যাবে না তাও নিশ্চিত করেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ।