সাধ্যের মধ্যে ইলিশ মিললেও পূরণ হচ্ছে না স্বাদ! আক্ষেপ ভোজনরসিক বাঙালিদের
Hilsa Fish

The Truth of Bengal: ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি পড়তেই ইলিশের দেখা মিলছে। রসিকজনদের মন ভরিয়ে সমুদ্রেও দেদার ধরা পড়ছে রূপোলি শস্য। ভোজনরসিক বাঙালির পাতে ইলিশের গন্ধ ম-ম করছে।বলা যায় বাঙালি বরাবরই রসিক।রসুই ঘরে হাজারো পদ রান্না করে প্রিয়জনদের খুশি করতে দেখা যায় আমাদের গৃহিনীদের। ইলিশ ভাপা,ইলিশ পোস্ত,সর্ষে ইলিশ,ইলিশের পাতুরি,,কত না পদ রয়েছে।আগে রান্না হলেই আশাপাশের লোকেরা জানতে পারতেন ।গন্ধে ভরে থাকত এলাকা।কেউ কেউ মজা করে বলেন,ঘ্রাণেন অর্ধং ভজন্তি। এখন সেই ঘ্রাণে সনাতনী গন্ধ নেই, রসনা থেকে বাসনা পূরণ হচ্ছে না। এমনটাই মনে করছেন মাছে-ভাতে বাঙালি।
ইলিশের রকমারী পদের গন্ধ পেয়ে মত্সপ্রিয় মানুষ খুশি হচ্ছেন।সবার মনে একটাই আক্ষেপ, দর দিলেও স্বাদের ইলিশ মিলছে কৈ।ছোট্ট বেলা থেকে যাঁরা ইলিশের এখন পূর্ব মেদিনীপুরে ১কেজির নীচে ইলিশ বিকোচ্ছে,৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়, ১কেজির ওপর ইলিশ বিক্রি হচ্ছে হাজার থেকে বারোশো টাকা,২কেজির ওপর ইলিশ মিলছে ১৫০০টাকায়। মত্স বিশেষজ্ঞরা বলছেন,এ র পিছনে রয়েছে মাছটি কোথা থেকে ধরা হচ্ছে, সেই জায়গার ভূমিকা। তাঁদের কথায়, ‘ইলিশ মাছ যখন নোনা জল থেকে মিষ্টি জলে আসে, তখন তার শরীরে অনেক ধরনের বদল হয়।
নোনা জলে থাকার সময়ে তার কিডনি বিশেষ কায়দায় কাজ করে। কিন্তু মিষ্টি জলে ঢুকতেই কিডনির গঠন বদলাতে শুরু করে।’ ‘সমুদ্রে থাকার সময়ে ইলিশের শরীরে থাকে আয়োডিন-সহ অন্যান্য বহু উপাদান। মিষ্টি জলে ঢোকার পরেই, মাছ সেগুলো শরীর থেকে বার করে দিতে শুরু করে। এর পরে শরীরে চর্বির পরিমাণ বাড়তে থাকে। তার সঙ্গে মাছের শরীরে আসে ডিম। এই ক’টি বদলের কারণেই মাছের স্বাদ বাড়তে থাকে।’ বর্তমানে বহু ইলিশই ধরা হয় সমুদ্রেই। সেই মাছের শরীরে থেকে যায় আয়োডিন-সহ এমন কিছু উপাদান, যা মাছের সুস্বাদ আসতে দেয় না। সেই কারণেই মাছের স্বাদ ভালো হয় না বলে তাঁদের অভিমত। তাই স্বাদপ্রেমীরা মনে করছেন ইলিশের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাদের চিরায়ত ধারা থাক।সবার একটাই ইচ্ছে,আহারে থাকা বাহার।