
The Truth of Bengal: ইলিশ থাকলেই আহারে বাহার বাড়ে। বাঙালি মাত্রই ইলিশের কদর বোঝেন। ইলিশ নিয়ে কত কবিতা –উপন্যাস লেখা হয়েছে। বুদ্ধদেব বসু তাঁর কবিতায় লেখেন…
রাত্রি শেষে গোয়ালন্দে অন্ধ কালো মালগাড়ি ভরে
জলের উজ্জ্বল শষ্য, রাশি-রাশি ইলিশের শব,
নদীর নিবিড়তম উল্লাসে মৃত্যুর পাহাড়।
প্রকৃতির এই উপহার নিয়ে লেখকরাও নানা কথা তুলে ধরেন।কলমের ভাবনার মতোই রসুইঘরের মোক্ষম রসদ এই সুস্বাদু ইলিশ। যা হাতে পেলে রকমারী পদ রান্না করেন রসিকজনরা। আর তা চেটেপুটে খান আমবাঙালি। ইলিশ ভাপা,ইলিশ পোস্ত,সরষম ইলিশ,কত ভাবে, কত রকমে যে রান্না হয় তার ইয়াত্তা নেই। বরাবরই পদ্মার ইলিশের দিকে আমরা তাকিয়ে থাকি।কিন্তু পদ্মার ইলিশ ছাড়াও দিঘা সমুদ্রের ইলিশও স্বাদবিলাসীদের পাত ভরায়।এবার আষাঢ়ে ইলিশের আমদানি ধীরে ধীরে বাড়ছে।দিঘায় ট্রলার বোঝাই রূপোলী শস্যের আনাগোনাও বাড়ছে।ভোজনরসিকদের রসুই ঘরে ডাক পড়ছে চিরায়ত মাছের।উল্লাসের ছোঁয়া ক্রেতা-বিক্রেতা দুই মহলেই। দিঘার বাজার যেন ম -ম করছে ইলিশের গন্ধে।
পঞ্চব্যজ্ঞনে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ার চল বাঙালির অন্দরমহলে বরাবর রয়েছে। রসনা তৃপ্তি করার জন্য মাছে ভাতে বাঙালি চিংড়ির মতোই বড় ভালোবাসেন ইলিশ। কিন্তু বিগত ৩বছর এই রূপোলি শস্য জালে ওঠেনি। সেই আক্ষেপ এবার পূরণ হবে বলে আশায় রসনাপ্রিয় আমবাঙালি। ৭০০-৮০০ গ্রাম ইলিশ বিকোচ্ছে ৪০০থেকে ৫০০টাকায়। পাইকারি বাজারের এই দর খুচরো বাজারে একটু বেশি। তবু দাম দিয়েই স্বাদ মেটাতে তৈরি ক্রেতারা। ইলিশের জোগান বাড়লে দাম একটু হয়তো কমবে। তবে আপাতত চড়া দরেই ইলিশ খাওয়ার সুযোগ ছাড়তে নারাজ মত্সপ্রেমীরা।