কমেডির ছলে সমাজ সচেতনতার বার্তা ‘লাপাতা লেডিজ’-এর
Social awareness message of 'Lapata Ladies' under the guise of comedy

The Truth Of Bengal: সাম্প্রতিককালের হিন্দি ছবিতে থ্রিলার, অ্যাকশন, প্রতিশোধ, লার্জার দ্যান লাইফের ভিড়ে এক ঝলক টাটকা বাতাস বয়ে আনল সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত লাপাতা লেডিজ। বহুদিন পর হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়, বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ছবির মধ্যে বলিউডের খ্যাতনামা বাঙালি পরিচালকদের ছবিতে যে সরলতা থাকত তা ধরা পড়ল পরিচালক কিরণ রাওয়ের এই ছবিতে। স্ল্যাপস্টিকের মোড়কে সমাজ সচেতন ভাবনায় কিরণ যে সহজেই বলিউডের অন্যান্য পরিচালকদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে তারই বার্তা দিল লাপাতা লেডিজ।
বিপ্লব গোস্বামীর গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কিরণ রাও সিনেমার সরল ভাষাতেই সাজিয়েছেন লাপাতা লেডিজ-এর চিত্রনাট্য। যার পরতে পরতে রয়েছে সামাজিক সংসারের ছোট্ট পরিধিতে বিভিন্ন বয়সের নারীর সম্মান-অসম্মান, বিনা বাক্যে পুরুষের একাধিপত্য মেনে নেওয়ার জন্য নিজের বিরুদ্ধেও সমঝোতা দেখিয়েছেন নিজের দ্বিতীয় ছবিতে। এই ছবির স্থান, কাল, পাত্র কাল্পনিক হলেও, চরিত্রের মধ্যকার আবেগ অচেনা নয়। ২০০১ সালের নির্মল প্রদেশ নামের এক এলাকার গল্প ‘লাপতা লেডিজ়’, সূর্যমূখী গ্রামের এক যুবক বিয়ে করে ফেরার পথে হারিয়ে ফেলে তাঁর সদ্য বিবাহিতা বউ ফুলকে। ছেলেটি তাঁর নব্য বিবাহিতা বউকে ঠিকভাবে চেনেও না। ফলে ঘটনাচক্রে বদলে যায় তাঁর বউ। এরপর সে যখন বাড়ি ফেরে তখন দেখে তাঁর বউ পরিবর্তন হয়ে গেছে। দেখে ফুলের বদলে তার বাড়িতে এসেছে পুষ্পারানি নামের অন্য এক মহিলা। তারপর কী হয় তাই নিয়েই শুরু হয় ছবির আসল কাহিনি।
এই ছবির জন্য কিরণ প্রধান চরিত্রে আনকোরা মুখ নিয়েছেন। সেটাই ছবির অন্যতম জোরের জায়গা। স্পর্শ, প্রতিভা, নিতাংশী তাঁদের সারল্যের জোরে ভীষণ ভাবে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছেন। ছবির সেরা পারফরম্যান্স অবশ্য পুলিশ অফিসার রবি কিষণের। ধূর্ত, ঘুষখোর পুলিশের চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন রবি কিষেণ। মুচমুচে সব সংলাপ তাঁর মুখেই রয়েছে। হিন্দি ছবির দুর্বলতা হল, কিছু চরিত্র আচমকাই ভোল বদলে ফেলে। রবি কিষণের চরিত্রেও মোচড় আছে তবে অতিরঞ্জন নেই। ফলে কাহিনির সঙ্গে মানানসই দৃশ্যায়ন, আবহ সব কিছুই দারুণভাবে ফুটে উঠেছে ছবিতে। এমনকি রাম সম্পতের আবহ ছবির মজারু মেজাজ ধরেই এগিয়েছে। “মোর সজনি রে, থেকে তুম বিন রাত কাটাইব ক্যায়সে” গানগুলিরও যথাযত ব্যবহৃত হয়েছে ছবির দৃশ্যায়নে।
FREE ACCESS