বক্স অফিসে ফ্যাকাসে ‘সাদা রঙের পৃথিবী’, ছবি দেখে খুশি নয় দর্শক
Sada ronger prithibi review

The Truth Of Bengal : একঝাঁক টলিউড নায়িকা নিয়ে রাজর্ষি দের নতুন ছবি সাদা রঙের পৃথিবী। ছবির প্রচারে কোনও খামতি রাখেনি ছবির গোটা টিম । ছবির প্লটেও নতুনত্ব থাকলেও ছবি দেখে মন ভরল না দর্শকের। এর কারণ কী, চলুন তাহলে সেটাই এবার খুঁজে নেওয়া যাক।
শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ‘সাদা রঙের পৃথিবী’। রহস্য-রোমাঞ্চে ঘেরা ‘সাদা রঙের পৃথিবী’ দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলো না। পরিচালক রাজর্ষি দে তাঁর নতুন ছবি ‘সাদা রঙের পৃথিবী’তে বাঙালি অসহায় বিধবাদের বেনারসের স্বর্গবাসের বদলে নয়, নিশ্চিত নরকবাসের এক অমানবিক, নারকীয় কাহিনির চিত্ররূপ দিয়েছেন। যেখানে সাধুর বেশে অসাধু ও অসৎ কাজের কারখানা চালান নিগুরানন্দ নামের এক ভন্ড! শিবানী ও ভবানি নামের যমজ দুই বোন এই তরুণী বিধবা পাচারে কাজে লিপ্ত। রাজর্ষির চিত্রনাট্যে এসেছে এই কুচক্রকে ভাঙার জন্য ছদ্মবেশী পুলিশের কর্তা ও এক সাংবাদিক। এদের নিয়েই তিনি বেনারসের পটভূমিকায় ঘটনার যে জটিল ধাঁধা তৈরি করেছেন তাতেই গল্পের খেই হারিয়েছে ছবির দর্শক।
ছবিতে ডাবল রোলে শ্রাবন্তী অবশ্যই চরিত্রের অসহায়তা সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন। নিজের যন্ত্রণা প্রকাশের দৃশ্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কতটা কী করতে পারেন। সৌরসেনী মৈত্র এককথায় অনবদ্য। তাঁর ও ঋতব্রতর ভালবাসার দিকটাও দুর্বল চিত্রনাট্যর ফলে পাকতে পারেনি। অসাধু নিগুরানন্দের ভূমিকায় অরিন্দম শীল বেশ মানানসই। পরিচালক রাজর্ষি নিজে বৃদ্ধবয়সী সাধুর পোশাকে অশান্ত প্রেমিকের চরিত্রটি মন্দ করেননি। তবে বলা ভালো ‘সাদা রঙের পৃথিবী’তে অভিনেতারা নিজেদের উজার করে দিলেও দর্শকদের মনে কিন্তু সেভাবে দাগ ফেলে না।
ছবিতে ব্যবসায়িক ফর্মুলা হিসেবে রয়েছে সুরমাসহ কয়েকটি নারী চরিত্রের মুখে গালমন্দ! এমনকী, শ্রাবন্তীর মুখ দিয়ে যৌন সুড়সুড়ি দেওয়া সংলাপও বাদ পড়েনি! ছবির গানগুলো বেশ ভাল। সেই গানে কিঞ্চিৎ পজিটিভ দিক ধরা পড়েছে। তাসত্ত্বেও ছবিটি মুক্তির পর তেমন ব্যবসায়িক সাফল্য পায়নি। তাই, মোটের উপর হিট হওয়ার সব উপকরণ মজুত থাকলেও টলিউডের বক্স অফিসে সাদা রঙের পৃথিবী আদতে ফ্যাকাসে হয়ে রইল।
FREE ACCESS