
The Truth of Bengal: বর্তমান প্রজন্ম সোশ্যাল সাইটেই ডুবে থাকে। একটি সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে নতুন প্রজন্ম দিনের মধ্যে ১৮ ঘন্টা কাটায় সোশ্যাল দুনিয়ার জানালায়। এবার এই বিষয়কেই হাতিয়ার করে পরিচালক অর্জুন ভারিন সিং গল্প ফাঁদলেন তিন বন্ধুর। ইমাদ, আহানা এবং নীল, এই তিনজনের নানান সমস্যা, আলাদা আলাদা কনফিউশন। কিন্তু কোথাও বুঝি আমার-আপনার ভিতরে বাস করছে এই তিনজনই। এই তিনজনই যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার-আপনার চরিত্রে অভিনয় করছে। ছবিতে অনন্যা পান্ডে ও সিদ্ধান্তের মত অভিনেতা থাকলেও এই ছবির মূল সম্পদ চিত্রনাট্য। জোয়া ও রিমার দক্ষ হাতে চিত্রনাট্যে কোনও ফাঁক নেই। এই ছবির সাবপ্লটে আসক্তি এবং তার ভয়ংকর ফলাফলকে খুবই সহজে সাজিয়েছেন তাঁরা।
গেহেরাইয়া-র পর এই ছবিতেও নিজেকে আরেকবার প্রমাণ করলেন অনন্যা। সঠিক গল্পে তিনি যে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন, তাঁর প্রমাণ আহানা চরিত্র। অনেক দৃশ্যেই অনন্যা শুধু চোখ দিয়ে অভিনয় করে গিয়েছেন। আর অনন্যার উপযুক্ত সঙ্গত সিদ্ধান্ত ও আদর্শ। তবে এই ছবির আসল চমকই হল কল্কি। কল্কিই এই ছবিকে গভীরতা দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক রঙিন জগতের অন্ধকারকে কল্কিই যেন সামনে সামনে নিয়ে আসেন। তবে, এই ছবিতে কল্কির চরিত্রটা আরেকটু যত্ন দাবি করে এবং ছবির দৈর্ঘ্যর আরেকটু ছোট হলে মন্দ হত না। নতুন প্রজন্মের ‘ভালো-মন্দের’ গল্প আসলে ‘খো গয়ে হাম কাহা’। যে ছবি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও রেশ থেকে যায় দর্শকের মনে।