
The Truth of Bengal: একসময়ের হুগলির ‘ত্রাস’ ‘হুব্বা শ্যামল’ আজ আর নেই। তবু আরও একবার সেই শ্যামলই যেন শহরে ফিরলেন ‘হুব্বা’ বিমল হয়ে। সৌজন্যে পরিচালক ব্রাত্য বসুর নতুন ছবি হুব্বা। হুগলির ডন হুব্বা শ্যামলের উপর সুপ্রতিম সরকারের লেখা গল্পকে নিয়ে দানা বেঁধেছে এই ছবির চিত্রনাট্য। তার ধরা পড়া, অপরাধী হওয়া, প্রথম প্রেম, দুটো বিয়ে, খুন, রাজনৈতিক নেতার হয়ে কাজ করা, সবটাই তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে।কিন্তু তাসত্ত্বেও কোথাও যেন দর্শকের কাছে ছবিটি হয়ে ওঠে রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো এক কোলাজ। প্রায় আড়াই ঘণ্টার এই সিনেমা বসে দেখতে দেখতে বিরক্তিভাব আসতে বাধ্য। গল্পের শুরুতে একটা ছন্দ থাকলেও, আধ ঘণ্টা যেতে না যেতেই দুর্বল চিত্রনাট্যের কারণে সেই ছন্দ হারিয়ে ফেলে দর্শক। আর এখানেই মুখথুবড়ে পড়ে হুব্বা।
ছবিটির প্রাপ্তির মধ্যে শুধুই মোশারফ করিম। তিনি যে একজন কত বড়মাপের অভিনেতা তাই এই ছবিতে ফের প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের এই দাপুটে অভিনেতা। ছবিতে ওনার কোস্টারদের অভিনয়ও দুর্দান্ত। কিন্তু সবার দুরন্ত অভিনয়ও মার খায় চিত্রনাট্যর অসফলতায়। একের পর এক অনাবশ্যক গালাগালি, পাঞ্চ লাইন যেন দর্শকের একঘেয়েমী আনতে বাধ্য করে। তবে কিছু জায়গার কমিক টাইমিং খারাপ লাগেনা। ছবির ফ্ল্যাশব্যাকে হুব্বার ছোটবেলার চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন গম্ভীরা ভট্টাচার্য। এছাড়াও হুব্বার ডান হাত হিসেবে অনুজয় চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়ও চোখে লাগার মত। তবে, IPS অফিসার-এর ভূমিকায় আশাহত করেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। এতটাই আড়ষ্ট, যা দেখে বিরক্ত লাগে হলের দর্শকদের।
ছবির মিউজিক থেকে ক্যামেরার কাজ কোনও কিছুই দর্শকের আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে না। ফলে শুধুমাত্র মোশারফের অভিনয় ছাড়া কিছুই দাগ কাটে না কলকাতার সিনেপ্রেমীদের মনে। তাই, ব্রাত্য বসুর এই নতুন হুব্বা শহরের ত্রাস সঞ্চার করতে একেবারেই ব্যর্থ তা বলা যেতেই পারে।