
The Truth of Bengal: রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় তিরুবন্তপুরমে সোনালি ইতিহাস লিখলেন টলিউড অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত ও তাঁর বেঙ্গল ব্রিগেড। প্রথমবারের মতো সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ বা সিসিএল-এর ট্রফি উঠল বেঙ্গল টাইগার্সের হাতে। কিচ্চা সুদীপের কর্নাটক বুলডোজারকে হারিয়ে এদিন রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিল বাংলার ছেলেরা। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ডেবিউর পর এই প্রথমবার সিসিএলের ট্রফি জিতল ‘বেঙ্গল টাইগার্স’। অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তের অধিনায়কত্বে ‘বেঙ্গল টাইগার্স’-এর ঝুলিতে এল এবারের ট্রফি।
সিসিএল ফাইনালে কর্নাটক বুলডোজারকে হারিয়ে বহুকাঙ্খিত এই ট্রফি নিজেদের নামে করল বেঙ্গল টাইগার্স। ২২ গজে ব্যাট-বল হাতে দাপট দেখিয়ে ক্রিকেট খেললেন বাংলার অভিনেতারা। কুড়ির খেলা ১০-১০ ওভারে দুই ইনিংসে ভাগ করে খেলা হয় সিসিএলে। ফাইনাল ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বেঙ্গল টাইগার্সের অধিনায়ক যিশু। প্রথমে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে বাংলা তোলে ১১৮ রান। এরপর প্রথম ১০ ওভারে বাংলার ১১৮ রানের জবাবে মাত্র ৮৬-৭ রানেই আটকে যায় কিচ্চা সুদীপের দল। প্রথম ইনিংসে ৩২ রানের জরুরি লিড নেয় বেঙ্গল টাইগার্স।
দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ জিততে ১৩৮ রান করতে হত কর্নাটককে। শেষের দিকে জ্বলে উঠলেও এই রানের পাহাড় অতিক্রম করতে পারেনি কর্নাটক বুলডোজার। এদিন বাংলার হয়ে ফের ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন জ্যামি বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম ইনিংসে জ্যামির অর্ধশতরানে ভর করেই ফাইনালে দুর্দান্ত শুরু করে বাংলা। প্রথম ইনিংসে আজ এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনি বোলাররাও। এদিন ব্যাট হাতে যেমন বেঙ্গল টাইগার্সদের নায়ক জ্যামি, তেমনই বল হাতে খেল দেখালেন টুর্নামেন্টের সেরা প্লেয়ার অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যাট হাতেও তৃতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরার রাহুল। তবে, গোটা টুর্নামেন্টে রানের নিরিখে এক নম্বরে বাংলার জ্যামি।