‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর সেটে কেন দুজন দুজনের থেকে দূরত্ব রেখে চলতেন রানি ও কাজল?

রানি ও কাজল একই পরিবারের সদস্য হলেও, তারা একে অপরের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন না। দুজনের বয়সের ব্যবধান ছিল পাঁচ বছর। রানি যখন মাত্র ১৭ বছর বয়সে বলিউডে আসেন, তখন কাজল ইতিমধ্যেই একজন সুপরিচিত অভিনেত্রী। রানি তাই কাজলকে একজন বড় বোনের মতো দেখতেন।
১৯৯৮ সালে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিতে অভিনয় করার আগে, রানি ও কাজল কখনো একসাথে কাজ করেননি। ছবিতে কাজ করার সময়, তারা দুজনেই নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তারা দুজনেই চেয়েছিলেন যে তাদের চরিত্রটি ছবিতে ভালোভাবে ফুটে উঠুক। তাই, তারা দুজনেই কাজের সময় একে অপরের সাথে খুব বেশি কথা বলতেন না। তারা শুধুমাত্র কাজের প্রয়োজনে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতেন।
‘কফি উইথ কর্ণ’-এর অষ্টম সিজ়নের সাম্প্রতিক পর্বে, রানি ও কাজল এই বিষয়ে কথা বলেছেন। রানি বলেছেন, “আমরা দুজনেই খুবই প্রতিযোগিতামূলক ছিলাম। আমরা দুজনেই চেয়েছিলাম যে আমাদের চরিত্রটি ছবিতে ভালোভাবে ফুটে উঠুক। তাই, আমরা দুজনেই কাজের সময় একে অপরের সাথে খুব বেশি কথা বলতে চাইতাম না।”
কাজলও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা দুজনেই খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমরা দুজনেই চেয়েছিলাম যে আমাদের চরিত্রটি ছবিতে ভালোভাবে ফুটে উঠুক। তাই, আমরা দুজনেই কাজের সময় একে অপরের সাথে খুব বেশি কথা বলতেন না।”
তবে, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর, রানি ও কাজলের মধ্যে দূরত্ব কমতে শুরু করে। তারা দুজনেই বুঝতে পারেন যে তারা দুজনেই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারা দুজনেই বুঝতে পারেন যে তারা দুজনেই একজন ভালো অভিনেত্রী। তাই, তারা দুজনেই একে অপরের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
বর্তমানে, রানি ও কাজল একজন ভালো বন্ধু। তারা দুজনেই একে অপরের সাথে প্রায়ই দেখা করেন। তারা দুজনেই একে অপরের কাজের প্রশংসা করেন।