বিনোদন

কলকাতা পুলিশের উপর জুলুমবাজি করে ফাইন তোলার অভিযোগ আনলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী!

 

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের নোটিস নিয়ে অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের একটি অজ্ঞাত সংস্থা ‘কোল.পোল’ তাকে নির্দিষ্ট মাসে ১০ থেকে ১২টি কেস দেওয়ার ‘বন্দোবস্ত’ করেছে।

মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পেজে অভিনেতা দুটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, ‘কোল.পোল’-এর পক্ষ থেকে তাকে দুটি নোটিস পাঠানো হয়েছে। প্রথম নোটিসে বলা হয়েছে, তার গাড়ি নাকি ২৫ জুলাই ২০২৩ তারিখে রাত ১১টার দিকে কলকাতার শ্যামবাজার মোড়ে স্টপলাইন ভায়োলেশন করেছে। দ্বিতীয় নোটিসে বলা হয়েছে, তার গাড়ি নাকি ২৭ জুলাই ২০২৩ তারিখে রাত ১০টার দিকে কলকাতার বিধাননগর থানার অন্তর্গত জাতীয় সড়কে দ্রুতগতির অপরাধ করেছে।

ঋত্বিক চক্রবর্তী লিখেছেন, “একটা প্যাটার্ন লক্ষ্য করলাম! বাকিদের সাথে পর্যবেক্ষণটা ভাগ করতে চাই। ছবিতে ‘কোল.পোল’ আমাকে পাঠানো এসএমসের স্ক্রিনশট আছে। দেখুন কেমন পছন্দসই মাসে ১০টা থেকে ১২টা কেস দেবে বলে একটা নির্বোধ-কাঁচা-চাঁদাবাজির (এক্সটরশন নাকি অন্যকিছু বলে?!) বন্দোবস্ত করেছে কোল-পোল।”

তিনি আরও লিখেছেন, “বিশেষ মাস প্রতি দুটো করে এসএমএস। প্রথমটায় দুটো ট্রাফিক ভায়োলেশন এর নোটিস, ২/৩ দিন পর ৮ বা তার অধিক ট্রাফিক ভায়োলেশানের নোটিস। মানে মাঝের ২ দিনেই ৮/৯ বার ট্রাফিক ভায়োলেশান? তাই নাকি ভাইটু? মাঝে ১-২ মাস করে চুপ। তার পর আবার যেরম কে যেরম! জানি না সেই সময় বোধহয় এই প্যার্টান অন্যের সঙ্গে ঘটছে। এই ভাবেই চলছে… আমার এটাকে করদাতাকে নির্লজ্জভাবে লোটার প্ল্যান মনে হচ্ছে সাদা চোখে। গত কাল দুটো ট্রাফিক ভায়োলেশানের নোটিসটা এসে গেছে, পরেরটা এলে জানাবো। বেশ একটা ট্র‍্যাক থাকবে… কিম্বা যদি প্যার্টান বদলায় তাহলেও। আপনাদের অভিজ্ঞতা এব্যাপারে কেমন?”

অভিনেতার এই পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। অনেকেই তার অভিযোগের সাথে একমত হয়েছেন। অভিনেতা সুহোত্র মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, “আমার গাড়ি সার্ভিস সেন্টারের গ্যারেজে ছিল কয়েকদিন… তার মধ্যেই একদিন নাকি স্টপলাইন ভায়োলেশনের কেস দিয়েছিল আউট অফ দ্য ব্লু… কিন্তু গাড়ি আমার গ্যারেজে পড়ে…এগুলোর কোনও ভিত্তি নেই… জোর জুলুম।”

অভিনেতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

Related Articles