Mamata Banerjee : ‘রিগিং করে ভোট লুট করা হয়েছিল নন্দীগ্রামে’, বদলা নেওয়ার হুঙ্কার মমতার
Mamata Banerjee : 'Votes were stolen by rigging in Nandigram', Mamata's demand for revenge

The Truth Of Bengal : নন্দীগ্রামে হারের বদলা নেওয়া হুঙ্কার দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুকের সভায় মমতা জানান, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। ভোটের পর লোডশেডিং করে ভোটের ফল পাল্টে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার বদলা নেওয়ার হুঙ্কার দিলেন শুভেন্দু-গড়ে।
তমলুকের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখে উঠে এল স্বাধীনতা সংগ্রামে এই জেলার উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা। সেই সঙ্গে তিনি নন্দীগ্রামের আন্দোলনের কথাও তুলে ধরেন। সেই জেলার কথা বলতে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল গদ্দার প্রসঙ্গ। গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তাঁর পরাজয় হয়েছিল, সেই কথা উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। রিগিং করে ভোট লুট করা হয়েছিল। তার জন্য ডিএম-এসপি ও আইসি-কে বদলে দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয় ভোটের পর লোডশেডিং করে ভোটের ফল পাল্টে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার বদলা নেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সে কথা আমি ভুলিনি। এর বদলা আমি নেব। আজ না হয় কাল এর বদলা নেবই। চিরকাল বিজেপি থাকবে না। চিরকাল, ইডি-সিবিআই কোলে করে রাখবে না। চিরকার এনআইএ, ইনকামট্যাক্স পাশে থাকবে না। এর বদলা আমি নেবই।’
উন্নয়নের নিরিখে শুধু দিঘা নয় গোটা জেলায় আমুল পরিবর্তন হয়েছে। রাজ্যের তৃণমূল সরকারের আমলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্যদোপাদযহায়ের উদ্যোগে এখন বদলে গিয়েছে দিঘার ছবি। এদিন তমলুকের সভায় সেই কথা তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘দিঘায় এলে লোকে বলে কী ছিল কী হয়েছে! দিঘাতে কে সৈকত সরণি করেছে? বম্বের মতো মেরিন ড্রাইভ? তিনটে সেতু তৈরি করতে হয়েছে। এত সস্তার কাজ এগুলো নয়। শয়ে শয়ে কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তাই এখন দিঘায় এলে লোকে বলে কী ছিল আর কী হয়েছে। দিঘায় জগন্নাথের মন্দির থেকে শুরু করে দিঘা গেট থেকে শুরু করে, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার, জাদুঘর, মাতঙ্গিনী হাজরার বাড়িতে গ্যালারি, পিছাবনী স্মৃতিসৌধ আরও অনেককিছু হয়েছে।
এদিনও প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ জারি রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর গ্যারান্টিকে এদিন তিনি গ্যারান্টিবাবু বলে কটাক্ষ করেন। মমতা বলেন, যেমন গদ্দার বলি, নাম নিই না। তেমনই এখানেও আমি নাম নেব না। আমি গ্যারান্টি বাবু বলব। নাম না করে এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, যখন তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয় তখন বাপও ছিল না ব্যাটাও ছিল না। গত ১০ বছরে এখানে তাঁরা কী কাজ করেছেন বলে প্রশ্ন তোলেন মমতা। তৃণমূলে থাকাকালীন যখন মন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি লুটে খেয়েছেন বলে আক্রমণ শানান মমতা। তমলুক ও কাঁথি দু’টো সিট-ই তৃণমূললে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে মমতা বলেন গদ্দাররা দখল করেছে। ওদের দখলমুক্ত করুন।