Success Story : উচ্চ মাধ্যমিকে নজর কেড়েছে ‘চা সুন্দরী’ কন্যা তৃষ্ণা, হতে চায় বড় আমলা
Success Story: 'Cha Sundari' daughter Trishna caught attention in higher secondary, wants to be a big official

The Truth Of Bengal : জলপাইগুড়ি -কল্যান চন্দ- উচ্চমাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য জলপাইগুড়ি জেলার বেলাকোবার তৃষ্ণা রায়ের। জেলার রাজগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সে। জলপাইগুড়ি জেলার বেলাকোবা গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী তৃষ্ণা রায়। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৭৯। আগামীতে ডব্লিউবিসিএস নিয়ে পড়াশোনা করে বিডিও হতে চায় তৃষ্ণা।
জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিপাড়ার বাসিন্দা কুসুমেশ্বর রায়ের ছোট মেয়ে তৃষ্ণা। মা চা শ্রমিক, বাবা ছোট ব্যবসা করেন। এই আয়ের মধ্যে দিয়েই স্বামী, স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে সংসার। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাদের ছোট মেয়ে তৃষ্ণা রায় দুর্দান্ত রেজাল্ট করেছে। তাতে খুশি পরিবারের সদস্যরা সহ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে গিয়ে ফুল ও মিষ্টিমুখ করিয়ে তাকে সংবর্ধনা জানান বেলাকোবা গার্লস হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি প্রসেনজিৎ দে।
তৃষ্ণা রায় জানান, “খুব ভালো লাগছে। যদিও নম্বরটা আরো বেশি আশা করেছিলাম। আগামীতে ডব্লিউবিসিএস করে বিডিও হতে চাই। পড়াশোনা চালাতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। সরকারিভাবে সাহায্য পেলে জীবনের ইচ্ছে পূরণ হবে। বাবা সামান্য টাকা আয় করে। সংসার চালিয়ে পড়াশোনা চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। এরপর আরো খরচ। কিভাবে জোগাড় হবে তা জানা নেই। কিন্তু পড়াশোনা চালানোর জন্য সাহায্যের প্রয়োজন।”
তৃষ্ণার মা রিনা রায় বলেন, “মেয়ের সাফল্যে আমরা সকলেই খুব খুশি। মেয়ে আগামীতে বিডিও হতে চায়। আমি চা কারখানায় শ্রমিকের কাজ করি। স্বামী ছোট ব্যবসা করেন। এই ভাবেই আমাদের কোনোরকমে সংসার চলে। মেয়ের আগাম পড়াশোনা জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। যদি সরকারি বা বেসরকারিভাবে কেউ সাহায্য করে তাহলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে” বলে জানান তিনি। অন্যদিকে প্রসেনজিৎ দে জানায় স্কুলের তৃষ্ণা রায় ভালো ফল করায় সকলে খুব খুসি। তাই আজ বাড়ি বয়ে এসে সংবর্ধনা দেওয়া হল। এরপর স্কুলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।