শিক্ষা

গতিশীল শিক্ষার ধারক-বাহক হয়ে উঠেছে মোবাইল মিউজিয়াম

 Mobile Education for Student

The Truth of Bengal: বাংলায় শিক্ষার প্রসারে অনন্য ভাবনা সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়েছে।বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষাদানে জাতীয় –আর্ন্তজাতিক স্তরে দিশা দেখাচ্ছে।তথ্য বলছে,বুনিয়াদী শিক্ষায় এই রাজ্য সবার থেকে এগিয়ে।কোভিডকালেও এই অন্যরকম ভাবনায় শিক্ষাপদ্ধতির জন্যই ড্রপআউট দেখা যায়নি  ।উল্টে সাড়া ভারতে যখন শিক্ষা পিছিয়েছে,ড্রপ আউট বেড়েছে সেখানে এই রাজ্যে আশাতীত সাফল্য দেখা গেছে। প্রাথমিক শিক্ষায় দারুণ সাফল্য অগ্রগতির চাকাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।একদিকে কন্যাশ্রী.শিক্ষাশ্রীর মতো প্রকল্প বা মিডডেমিলের সুবিধা পড়ুয়াদের শিক্ষাঙ্গনমুখী করছে বলে শিক্ষা প্রশাসকরা  বলছেন।২০১৯-২০-র তথ্য সামনে রেখে আরও সাফল্যের নজির মিলল।

পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিকে জিইআর ৫৪.৪ শতাংশ ,দেশে  ৭০.৩ শতাংশ উচ্চশিক্ষায় পুরুষদের জিআইআর ২৬.৯শতাংশ, বাংলায় ২০.৩ শতাংশ আধুনিকযুগে বিজ্ঞানশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে।তাই বিজ্ঞানশিক্ষার পদ্ধতিতেও অন্যরকম ছোঁয়া মিলছে।সরকারি ভাবনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বেসরকারি সংস্থাও এগিয়ে আসছে।  নদীয়ার শান্তিপুর সূত্রাগড়ের গার্লস হাইস্কুলেও সাইন্সের উপর প্রদর্শনীর আয়োজন করে বিরলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, এই মোবাইল ভ্যানে রয়েছে কুড়িটি মডেল, যেখানে ছাত্রীদের প্রাকটিক্যাল ভাবে সাইন্সের উপর পরীক্ষা শেখানো হচ্ছে। তবে ছাত্রীদের শেখার জন্য আগ্রহ রয়েছে যথেষ্টই।

২০২০ সালে এই মোবাইল ভ্যান একবার এসেছিল বিদ্যালয়ে, কিন্তু করোনার জন্য দু’বছর পিছিয়ে যায়। যদিও এত সংখ্যক ছাত্রীদের নিয়ে কলকাতা যাওয়া সম্ভব নয়, তাই বিদ্যালয় থেকেই সাইন্সের উপর পরীক্ষা শেখানোর ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী বলে মনে করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা। অন্যদিকে সাইন্সের উপর গবেষণার ক্ষেত্রে এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে অভিভাবকরা, খুশি ছাত্রীরাও। সাধারণ পড়ুয়ারা বিজ্ঞানশিক্ষার প্রতি বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছে।প্রাক্টিক্যাল অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিক্ষার গতি আরও তরান্বিত হবে বলে আশায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা

Related Articles