শিক্ষা

মেয়ে হওয়ায় শুনতে হয়েছে গঞ্জনা, সেই মেয়েই আজ চোখের মনি, মুদি দোকানির মেয়ের IAS হয়ে ওঠার গল্প

Being a girl, I had to listen to the story of Ganjana, the apple of my eye today, the story of a grocer's daughter becoming an IAS

The Truth Of Bengal : মনে অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং কঠোর পরিশ্রম থাকলে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব সেটা আবারও প্রমাণ করে দেখালেন হুগলির কৃতি ছাত্রী শ্বেতা আগারওয়াল। তিন তিনবার UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তাক লাগালেন এই মেধাবী ছাত্রী। মেয়ের সাফল্যে অত্যন্ত আনন্দিত পরিবার।

হুগলি জেলার ভদ্রেশ্বর এলাকায় শ্বেতা আগারওয়াল বসবাস করেন। বাবা ছিলেন পেশায় মুদি দোকানি। কথায় বলে কন্যাদায় মহাদায়। সেই কথাই যেন ফির একবার প্রমাণিত হলো শ্বেতার ক্ষেত্রে। এবারে মনে প্রশ্ন আসতেই পারে হঠাৎ কেন এ কথা উল্লেখ করা হল? হ্যাঁ, শ্বেতা আগারওয়াল জন্মের পর তার পরিবার মোটেও খুশি হননি। কারণ তার বাবা-মা চেয়েছিলেন তাদের একটি পুত্র সন্তান হোক যে পরবর্তীকালে বৃদ্ধাবস্থায় তাদের দেখাশোনা করবে। কিন্তু এমতাবস্থায় তাদের ঘর আলো করে আসে শ্বেতা। তার জন্মের পর যে মা-বাবা মেনে নিতে পারছিলেন না মেয়েকে, তারাই কোনো রকম কোনো খুঁত রাখলেন না মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করতে।

ব্যান্ডেলে জোসেফ কনভার্ট স্কুলে পড়াশোনা করেন শ্বেতা। এরপর কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকের উত্তীর্ণ হন তিনি। মুদির দোকান চালিয়ে মেয়ের পড়াশোনার যাবতীয় খরচ চালাতেন বাবা। স্নাতকের পথ এমবিএ করেন শ্বেতা। তারপর একটি বহুজাতিক সংখ্যায় কাজের সুযোগ পেলেও সেই কাজ ছেড়ে দিয়ে UPSC পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন।

এরপর UPSC পরীক্ষা দিয়ে পরপর তিনবার উত্তীর্ণ হন তিনি। ২০১৪ সালে প্রথমবার UPSC পরীক্ষা দিয়ে সারা দেশের মধ্যে ৪৯৭ তে র‍্যাঙ্ক করে IRS হন শ্বেতা। কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল একজন IAS অফিসার হওয়ার। এরপর ফির দুবার পরীক্ষায় বসেন তিনি। ২০১৫ সালে পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হয়ে IPS হন তিনি। অবশেষে ২০১৬ সালে তৃতীয়বারের চেষ্টায় ১৪১ এ র‍্যাঙ্ক করে IAS হন শ্বেতা আগারওয়াল।

Related Articles