
Truth Of Bengal: আর কবে সচেতন হব আমরা? চতুর্দিকে বিপর্যয়ের খবর। কোথাও বাড়ি হেলে পড়ছে আবার কোথাও ফাটল। শুরুটা হয়েছিল বউবাজারে মেট্রোর সুরঙ্গ খোড়ার সময় থেকে। দুর্গা পাতুরি লেনের একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। সেই সময় একাধিক পরিবারকে সরিয়ে নিতে হয়েছিল ওই এলাকা থেকে। ঐতিহ্যের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করতে হয়। অনেক স্মৃতি হারিয়ে যায়। আবার সম্প্রতি শহরের বিভিন্ন এলাকায় বহুতল হেলে পড়ার ঘটনা ঘটে চলেছে।
কখনও উত্তরের বাগুইহাটি বা কখনও দক্ষিণের বাঘাযতীন। কখনও তপসিয়া বা ট্যাংরা। শনিবার এন্টালিতে এরকম বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা সামনে আসে। সব ক্ষেত্রেই আঙুল উঠতে শুরু করেছে একে অপরের দিকে। এমন যেন মনোভাব সব দোষ বহুতল নির্মাণ সংস্থার বা প্রোমোটারের। আবার সেই সঙ্গে আঙুল সরাসরি পুরসভার দিকে বা এলাকার জনপ্রতিনিধির দিকে। এমন একটা ভাব সব দোষ অন্যের।
নিজের ঘাড়ে দোষ কেউই চাপাতে চান না। যখন ফ্ল্যাট বুক করেন বা কেনেন একবারও কি দায়িত্ব নেই যাচাই করে নেওয়ার? যখ ন কোন জলাভূমি বুজিয়ে ফ্লাট তৈরি হচ্ছে তখন কি এলাকাবাসী প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন। বা যাঁরা ফ্লাট কিনলেন তারাই বা যাচাই করে নিলেন না এটা জলাভূমির উপর গড়ে উঠেছে। অনেকেই আবার কম দামে ফ্ল্যাট পাওয়ার আশায় কত আগে বুকিং করা যায় সেই দৌড়ে লাইন দিলেন!
অর্থাৎ সব দোষ অন্যের ঘাড়ে না চাপিয়ে নিজের ঘাড়েও কিছুটা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না! আর যেভাবে প্রতিদিন প্রকৃতিকে আমরা ধ্বংস করছি তার প্রভাবও পড়ছে। মাটির তলায় জল শূন্যতা শুরু হয়েছে। ভূমিস্তর তার স্বাভাবিকতা হারাচ্ছে। ক্রমশ শক্তি কমছে ভূমিস্তরের। বেশি ভার বহন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে এমন রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। অর্থাৎ শহরে একের পর এক বহুতল হেলে পড়ার পিছনে এটাও একটা অন্যতম বড় কারণ। এখন থেকেই তাই সাবধান হওয়া প্রয়োজন। সচেতন হওয়া প্রয়োজন সকলের।