সম্পাদকীয়

পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ বন্ধু হতে চাইলে কী হবে?

What if Pakistan and Bangladesh want to be friends?

Truth Of Bengal: সুমন ভট্টাচার্য: “আয় তবে সহচরী, হাতে হাতে ধরি ধরি!” সম্প্রতি ঢাকা এবং ইসলামাবাদের সখ্য দেখে আমার এই গানটার কথাই মনে পড়ে গেল। কিন্তু কে কার হাত ধরছে, তার ফলাফল, সখ্যের ওজন… এগুলোও সবসময় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বোঝা উচিত। ঠিক যেমন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বাম এবং কংগ্রেস হাত ধরলে আসলে রাজনীতিতে কোনও উপকার হয় না, কারণ দুজনেই রাজনীতির ফলাফলের দিক থেকে শূন্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তেমনই যদি ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার সখ্য বাড়ে, তাহলেও আসলে কোনও উপকার হয় না।

পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ঈশাক দর, যিনি নিজের আগামী ঢাকা সফর নিয়ে এতটাই উৎসাহিত এবং উত্তেজিত, যে তিনি ঘোষণা করে দিয়েছেন, এর থেকেই প্রমাণ হয়, যে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ‘নিঃসঙ্গতা’ কাটতে চলেছে। এবং তিনি বাংলাদেশকে তাদের ‘হারিয়ে যাওয়া ভাই’ বলে উল্লেখ করেছেন। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা মিম হচ্ছে বা যা পরিহাস পর্ব চলছে, আমি তাতে ঢুকছি না, কিন্তু যদি পাকিস্তানকে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নিজেদের ‘আইসোলেশন’ বা কূটনীতির পরিভাষায় নিঃসঙ্গতা কাটাতে হয়, তাহলে আমাদের বুঝে নিতে হবে, বা আরও পরিষ্কার করে বলতে গেলে, বাংলাদেশের জামাতপন্থীদের বুঝে নিতে হবে যে ইসলামাবাদ আসলে কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। এবং ইসলামাবাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের ইঙ্গিত দিয়ে ভারতবর্ষকে ‘স্লেজিং’ করার যে পদ্ধতি বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়েছে, তাতে নয়াদিল্লি বিন্দুমাত্র চিন্তিত হবে না। কারণ পাকিস্তান ডিপ্লোমেসির ভাষায় বা রাজনীতির ভাষায় একটা ‘ফেইলড স্টেট’ হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠবে ১৯৭১-এ মুজিব যে দেশটিকে তৈরি করে একটি আধুনিক বাঙালি রাষ্ট্র গড়ার দিকে এগিয়ে ছিলেন, তাও কি আসলে ‘ফেইলড স্টেট’ হওয়ার দিকে হাঁটতে চায়?

বাংলাদেশ ‘ফেইলড স্টেট’ হতে চায় কিনা সেই প্রশ্ন লোককে ভাবাবে। কারণ, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে যে উত্থান বা বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক শক্তি, তার অনেকটাই নির্ভর করে আছে বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যের উপরে। বা আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে পোশাক শিল্পের উপরে। যাঁরা জানেন না, তাঁদের এটা জেনে রাখা ভালো, যে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য তুলো পুরোটাই যায় ভারতবর্ষ থেকে। এখনও অবধি বিশ্বের কূটনীতির যা অবস্থা বা ভারতবর্ষও হয়তো সেই অবস্থানে নিয়ে যেতে চায় না, যে তারা বাংলাদেশকে তুলো রফতানি বন্ধ করে দেবে। এটাও অনেকের পরিষ্কার ধারণা নেই যে ভারতবর্ষের মোট রফতানির কতটা পরিমাণ মাত্র বাংলাদেশে যায়।

ভারতবর্ষ মোট রফতানি করে ৫৩৫ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। আর বাংলাদেশে ভারতবর্ষের রফতানির পরিমাণ হচ্ছে ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। তাহলেই বুঝে নিন, যে ভারতবর্ষের মোট রফতানির মধ্যে মাত্র কত শতাংশ এই পুবের প্রতিবেশী দেশের কাছে যায়। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে যদি ভারতবর্ষের রফতানি কমে, তাহলে নয়াদিল্লির খুব একটা উদ্বেগের কারণ নেই। কিন্তু ঢাকার জন্য যা যা জরুরি বিষয়, যেমন তুলো থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় চাল, সেগুলো যদি ভারত থেকে না যায়, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং অর্থনীতির সুবাদে সমাজেও চাপ পড়বে। এই সরল তথ্যগুলি যাঁরা বোঝেন না, তাঁরা রাজনীতির ময়দানে অনেক ধরনের চিৎকার চেঁচামেচি করতে পারেন, নয়াদিল্লিকে বিরক্ত করবার জন্য ইসলামাবাদের হাত ধরে টানাটানি করতে পারেন, কিন্তু তাতে ভারতের কিছু যায় আসে না।

এটাও বোঝা দরকার, যে পাকিস্তান এমনই একটা ‘ফেইলড স্টেট’ যাদের সীমান্তে প্রতিনিয়ত কখনও আফগানিস্তানের সঙ্গে, কখনও ইরানের সঙ্গে এবং অবশ্যই ভারতের সঙ্গে গুলি বিনিময় চলে। কিন্তু সেই পাকিস্তানকে জীবনদায়ী ওষুধও কিনতে হয় নয়াদিল্লির থেকে। হ্যাঁ, ঠিকই জানছেন। পাকিস্তানের যতই তর্জন-গর্জন থাকুক না কেন, তারা জীবনদায়ী ওষুধ কেনে ভারতবর্ষের মুম্বাই, গুজরাটের বিভিন্ন ওষুধ কারখানা থেকে ঘুরপথে, অর্থাৎ ইউনাইটেড আরব এমিরেটস(ইউএই) বা দুবাই হয়ে। ফলে পাকিস্তানের শিল্প, বাণিজ্য, বিজ্ঞান কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেই বিষয়ে ওয়াশিংটন এবং মস্কোর যেমন সম্যক ধারণা রয়েছে, তেমনই নয়াদিল্লিরও রয়েছে।

৩০ বছর আগে অবধি পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচে বা ২২ গজে কতটা দাপট দেখাবে, তা নিয়ে ভারতবর্ষের ক্রিকেট সমর্থকদের হয়তো কিছুটা উদ্বেগ ছিল। গত দুই দশকে পাকিস্তান ক্রিকেটেও একটি ক্ষীয়মান শক্তি। যে দেশের তারকারা মুখিয়ে থাকে আইপিএলে খেলবার জন্য, কারণ আইপিএলে খেললে যে পরিমাণ অর্থ আসে, তা পৃথিবীর অন্য কোনও ক্রিকেট লিগে খেললে আসে না, সেই দেশের ব্যাটবল নিয়েই বা বড়াই করার কি আছে?ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট নিয়েও বা পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যাট-বলের লড়াই নিয়েও আর নয়াদিল্লি বা আসমুদ্রহিমাচল স্নায়ুর উত্তেজনায় ভোগে না। পাকিস্তান খেলার মাঠ থেকে বিজ্ঞান, অর্থনীতি থেকে সিনেমা, সব কিছুতেই ভারতীয় বাজারের সামান্যতম ‘কৃপাদৃষ্টি’ পাওয়ার জন্য তাকিয়ে থাকে। ফাহাদ খান বা মাহিরা খানের সবচেয়ে বড় ‘অ্যাসপিরেশন’, উচ্চাশা বা জীবনের লক্ষ্য যাতে তাঁদের বলিউডের সিনেমায় শাহরুখের সঙ্গে দেখা পাওয়া যায়। এটাই আজকের বাস্তবের!

তাহলে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে জড়িয়ে ধরলে বা পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ঈশাক দর ঢাকা সফরে গেলে আসলে কী রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়? এটা নিয়ে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের ধারণা নেই বা বাংলাদেশের নতুন শাসকদের স্পষ্ট ধারণা নেই, যে গোটা বিশ্ব পাকিস্তানকে একটা ‘সন্ত্রাসবাদীদের আঁতুরঘর’ হিসেবেই দেখে। এতটাই দেখে, যে ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি শপথ নেওয়ার আগে বা হোয়াইট হাউজে ঢোকার আগে থেকেই পাকিস্তানের দিকে কামান দেগে চলেছেন। যদি কেউ ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশপাশে থাকা অতি দক্ষিণপন্থী রাজনীতিবিদদের ট্যুইট, তাঁদের লেখা পড়েন, তাহলে বুঝতে পারবেন তাঁরা পাকিস্তানকে ঠিক কতটা সন্দেহের চোখে দেখেন।

অতএব, সেই ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকা যদি সখ্য বাড়িয়ে মনে করে নয়াদিল্লির রক্তচাপ বাড়াবে, তাহলে আসলে তারা পশ্চিমের খর-নজরেই পড়বে। এবং তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাংলাদেশকে আবার পশ্চিমের দেশগুলিতে পোশাক রফতানি করেই নিজেদের বৈদেশিক মুদ্রার ভাড়ারকে টিঁকিয়ে রাখতে হয়। অর্থাৎ যদি আমেরিকা বা ইউরোপের দেশগুলি মনে করে, যে পাকিস্তানের মতোই বাংলাদেশও আসলে সন্ত্রাসবাদী বা জঙ্গিদের আঁতুরঘর হয়ে উঠতে চাইছে, তাহলে বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যের বা বিদেশে গার্মেন্টস এক্সপোর্ট করার ক্ষেত্রে খুব একটা লাভ হবে না। বরং ট্রাম্প প্রশাসনের বিষ নজরই তৈরি হতে পারে। এইটা যতক্ষণ না বাংলাদেশের জামাতপন্থীরা, যাঁরা পাকিস্তানকে নিজেদের ‘বড় ভাই’ বলে জড়িয়ে ধরতে সদা আগ্রহী রয়েছেন, তাঁরা বুঝতে না পারবেন, ততক্ষণ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বাংলাদেশ এক কদমও এগোতে পারবে না। ভারতের জন্যও কোনও চ্যালেঞ্জ তৈরি তো অনেক দূরের বিষয়।

এটা সত্যি কথা, যে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন আছে। ঠিক যেমন আমেরিকার লাতিন আমেরিকার দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন আছে, যাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরিভাষায় আমরা ‘মেক্সিকো সিনড্রোম’ বলি। অর্থাৎ পাশের বড় রাষ্ট্রের প্রতি অসূয়া বা বীতরাগ। এর থেকেই যে মালদ্বীপ বা নেপালের মতো দেশগুলির সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কের টানাপোড়েন চলে তা বলাই বাহুল্য।

নয়াদিল্লিও এটা জানে, ভারতবর্ষের রাজনীতিকরাও এটা ভাল করে বোঝেন। সেইজন্য ভারত সবসময় তার ক্ষমতা বা শক্তিকে জাহির করতে চায় না। কিন্তু মালদ্বীপকে শেষ পর্যন্ত নয়াদিল্লির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিতে হয়। তার কারণ, নয়া দিল্লি যা যা দিতে পারে, তা দেওয়ার ক্ষমতা ইসলামাবাদের নেই। ভারতবর্ষের অর্থনীতির যে শক্তি, ভারতবর্ষের রফতানি করার যে ক্ষমতা, ভারতবর্ষের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত যে সাফল্য, তার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো কোনও কিছুই ইসলামাবাদ তো দূরের কথা, তুরস্কের কাছেও নেই। তুরস্ক দ্রোন পাঠাতে পারে, কিন্তু করোনার সময় ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক মালদ্বীপকে ভারতই দিয়েছিল। এই সাধারণ সত্যটা মালদ্বীপের নব নিযুক্ত প্রেসিডেন্ট, যাঁকে আমরা চিনপন্থী বলেই চিনি, সেই মুইজ্জুও বোঝেন বলেই তিনি শেষ পর্যন্ত নয়াদিল্লির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে নেন।

মুইজ্জু জানেন যে আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের যে ঋণের পরিমাণ, সেই ঋণ হয়তো বেইজিং মকুব করবে না, কিন্তু ভারতবর্ষ তার চিরকালীন আদর্শ মেনে কোনও প্রতিবেশী দেশের ওপরই অর্থনৈতিকভাবে সাঁড়াশি আক্রমণ চালাবে না। তাই মুইজ্জুকে নয়া দিল্লির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে হয়। ওয়াশিংটন পোস্ট যতই নয়া দিল্লি আর মুইজ্জুর সম্পর্ক বিষিয়ে দেওয়ার জন্য চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশ করুক, তাতে মালের রাজনীতিতে হেলদোল পড়ে না। বিডেন প্রশাসন বা মার্কিন সংবাদপত্র দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়।

এই লেখার শিরোনাম, যে পাকিস্তান বাংলাদেশের বন্ধু হতে চাইলে কি ফলাফল হতে পারে? তার কারণ, বাংলাদেশের বর্তমান শাসকরা আসলে কি নিজেদের ধ্বংসের রাজনীতির সূচনা করতে চাইছেন? বাংলাদেশ যদি পূর্ব পাকিস্তান হতে চায়, আগেই আমি এই কলমেই লিখেছি, যে তাতে নয়াদিল্লির কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু বাংলাদেশে সাধারণ মানুষদের কী হবে? যদি ঢাকা, কুমিল্লা, রাজশাহী, পাবনার মানুষরা বোঝেন যে কেন আফগানিস্তানের তালিবানদেরও পাকিস্তানদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে, সীমান্ত সংঘর্ষ করতে হচ্ছে এবং বলতে হচ্ছে ‘আমরা মানচিত্র বদলে দেব’, তাহলে বুঝতে পারবেন পাকিস্তান ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে অর্থনৈতিক দিক থেকে, রাজনৈতিক দিক থেকে, ক্ষমতার দিক থেকে, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির দিক থেকে।

আফগানিস্তান, যে আফগানিস্তানে তালিবানরা একসময়ে ইসলামাবাদের মদতেই, পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে নিজেদের তৈরি করেছিল, তাদের কেন আজ ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে এত খারাপ খারাপ কথা উচ্চারণ করতে হচ্ছে? উলটোটাও সত্যি, যে ঢাকাতে আসতে উদগ্রীব পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীকে কেন আফগানিস্তানের তালিবানদের নিয়ে এত কটূ কথা বলতে হচ্ছে? এই সারসত্যটা যদি কেউ বুঝে ফেলতে পারে, তাহলে বুঝতে পারবেন, যে জিন্নার ‘টু নেশন’ থিওরি পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কোনও ‘শক্তিকেন্দ্র’এ পরিণত করেনি। বরং একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, যার বন্ধু কেউই থাকতে চায় না।

হয়তো হতে পারে উগ্র মৌলবাদের বা সন্ত্রাসবাদের জন্য কেউ পাকিস্তান বা আইএসআইয়ের সাহায্য নিতে পারে। কিন্তু রাষ্ট্র চালানোর জন্য, সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তালিবানরাও পাকিস্তানের ওপর নির্ভর করতে চায় না। এই সারসত্যটা বুঝলে ঢাকায় যাঁরা ভারত বিদ্বেষে শান দিচ্ছেন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে বিশাল গর্ব অনুভব করছেন, তাঁরা একটু শান্ত হতে পারেন। এবং ভাবতে পারেন যে পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের চাইতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপদে রাখলে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের সুনাম হবে।

Related Articles