সম্পাদকীয়

ভিনরাজ্যের তীর্থযাত্রীদের প্রশংসাই পুরস্কার রাজ্যের

The praise of pilgrims from other kingdoms is the reward of the kingdom.

Truth Of Bengal: একেবারেই নির্বিঘ্নে শেষ হল পুণ্যলগ্নের পুণ্যস্নান। প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের সমাগমে এই আয়োজন করা খুব একটা সহজ ছিল না প্রশাসনের কাছে। তবে রাজ্য সরকারের চেষ্টায় সেই মহাযজ্ঞ উতরে গেল ঠিকঠাক ভাবে। গঙ্গাসাগরে যত মানুষের সমাগম হয় তার সিংহভাগ হল ভিনরাজ্যের। অনেকটা পথে উজিয়ে পুণ্যলাভের আশায় ওই তীর্থযাত্রীরা এই রাজ্যে আসেন।

দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তাঁরা পৌঁছে যান গঙ্গাসাগর। অনেক বয়স্ক মানুষ থাকেন তার মধ্যে। আবার অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন মেলায় এসে। মেলা চত্বরে সব রকমের চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখা হয়। তবে বড় ধরনের কোনও অসুস্থতা হলে জরুরি হয়ে পড়ে কলকাতায় আনা। গঙ্গাসাগর থেকে চাইলেই দ্রুত কলকাতা আনা সম্ভব নন। সে ক্ষেত্রে অনেকটা সময় লেগে যাওয়ার কথা। হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনা ঘটলে বিপদের আশঙ্কা থেকে যায়। এক্ষেত্রেও কোনও ফাঁক রাখেনি রাজ্য সরকার। তীর্থযাত্রীদের দ্রুত কলকাতা আনার জন্য রাখা হয় হেলিকপ্টার।

গঙ্গাসাগরে অসুস্থ হয়ে পড়া বেশ কয়েক জন তীর্থযাত্রীকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে আসা হয় শহরে। ডুমুরজলার হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড গ্রিন করিডর করে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অল্প সময়ের মধ্যে শুরু হয় উন্নত চিকিৎসা। গঙ্গাসাগর মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয় তা দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সজাগ আছে প্রশাসন। গোটা দেশের কাছে পরিচিত গঙ্গাসাগর মেলা একটা আলাদা তাৎপর্য বহন করে।

সেই মেলা সুষ্ঠু ভাবে আয়োজন করা একটা চ্যালেঞ্জ। তবে সেই চ্যালেঞ্জ খুব একটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় না প্রশাসনের কাছে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ এবং নজরদারির জন্য আয়োজনে কোনও ফাঁক থাকে না। গোটা দেশ দেখে রাজ্য সরকারের কোন পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা থাকে এই মেলায়। তাও গঙ্গাসাগর মেলা জাতীয় মেলার স্বীকৃতি পায় না। কেন্দ্র সেই স্বীকৃতি দিতে উদাসীন। তবে কেন্দ্র হাত গুটিয়ে থাকলেও রাজ্য সরকার বসে থাকে না। সীমিত সাধ্য নিয়ে আয়োজন করে মেলা। যা দেখে তাক লেগে যায় ভিন রাজ্যে থেকে আসা তীর্থযাত্রীদের। তাঁরা ধন্য ধন্য করে রাজ্য সরকারকে।

Related Articles