
Truth Of Bengal: ড. সুজীব কর: সময় যেমন অত্যন্ত দ্রুতগতিতে পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে, তেমনই পরিবর্তিত হচ্ছে পার্থিব পরিমণ্ডলের সমস্ত কিছুই। আমরা কখনও তা অনুধাবন করছি, আবার কখনও করতে পারছি না। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে প্রতিটি মুহূর্তই আমাদের কাছে এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ, প্রত্যেক দিনই একটু একটু করে প্রকৃতি আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এই পৃথিবী, বর্তমান এই মানুষের বাসযোগ্য পরিমণ্ডল, কোনও কিছুই কিন্তু আমাদের কাছে আজ পরিস্রুত অবস্থায় নেই।
সব ক্ষেত্রেই কোথাও যেন মানুষের অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পৃথিবীর বায়ু, জল ও মাটি প্রভৃতি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনই প্রাকৃতিক পরিমণ্ডলের এই পরিবর্তনশীলতা মানুষের মনেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। যার ফলে চূড়ান্ত অস্থিরতা এবং সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে, নিজস্ব ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য অন্যের ওপর দোষ চাপানো প্রভৃতি দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থাৎ, আজ সমস্ত ক্ষেত্রই যেন কলুষিত, কোথাও নিস্তার নেই। তা তো ঘটবেই, কারণ আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নিজেদের হাতে প্রকৃতির প্রত্যেকটি দিগন্তকে নিষ্পেষণ করতে করতে শেষ পর্যন্ত আজ আমরা চূড়ান্ত বিপদের ক্রান্তিকালে উপনীত।
নদী নিয়ে রাজনীতি আমাদের কাছে নতুন নয়। বহু প্রাচীনকাল থেকেই নদী এবং তার জল বণ্টন প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আলোচনার ক্ষেত্রে হিসেবে বিবেচিত হয়। ফলে আমরা বহুদিন ধরে এই ধরনের শব্দগুলির সঙ্গে পরিচিত ছিলাম। কারণ নদীগুলি তাদের স্রোতস্বিনী ধারা নিয়ে একাধিক ভূখণ্ডকে অতিক্রম করে, জনপদকে অতিক্রম করে তার সঙ্গমস্থলে ছুটে চলে। কিন্তু আমরা কখনওই ভাবিনি, আমাদের নদী চুরি নিয়েও ভাবতে হবে।
আজ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মানুষেরা ধীরে ধীরে বুঝতে পারছেন এই স্রোতস্বিনী ধারাগুলির গুরুত্ব ভূমিভাগের ওপর কতখানি। কিন্তু সেই জলধারাকে নিয়ে নির্বিচারে তার প্রবাহ পথকে রুদ্ধ করে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সৃষ্টি করা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছিল এবং নদীর বহুমুখী পরিকল্পনা বাস্তবিক ক্ষেত্রে অপরিকল্পিত ভাবে নদীর জলের ব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়। এর প্রভাবে একাধিক জলধারা তাদের চরিত্রকে পরিবর্তন করতে শুরু করে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে এই জলধারাগুলি তাদের গতিপথকে হারিয়ে ফেলে রুদ্ধ হয়ে পড়ে তাদের প্রবাহ পথের মধ্যে। কিন্তু সেখানে মানুষের কোনও হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় না। কিন্তু অদ্ভুতভাবে শীতকালে বা গ্রীষ্মকালে যখন নদীতে জলের পরিমাণ হ্রাস পায়, নদীর চরগুলি জেগে ওঠে তখন এক শ্রেণির লোভী ব্যবসায়ী সেই নদীর চরগুলি থেকে বালি উত্তোলন করে নদী খাতকে নষ্ট করে ফেলে।
এক্ষেত্রে নদী সম্পর্কে কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রথমত, নদী তার উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত এক ধীরঢালযুক্ত প্রবাহ পথ প্রস্তুত করে এবং এই প্রস্তুতিতে সে কোথাও তার বালুকরাশিকে সঞ্চয় করে আবার কোথাও অতিরিক্ত ক্ষয়ের দ্বারা বালুকার স্তরকে উত্তোলন করে। কোনও কোনও অংশে নদী খাতের গভীরতাকে বৃদ্ধি করে। কিন্তু আকস্মিক ভাবে মানুষের হস্তক্ষেপে যদি নদী চর বিঘ্নিত হয় তা হলে স্বাভাবিক ভাবেই নদীর প্রবাহ পথের ঢালের যে বৈশিষ্ট্য তা পরিবর্তিত হয়ে যায়। এর প্রভাব স্বরূপ নদীর জলধারা প্রবাহের গতি স্বাভাবিকভাবে যে ছন্দময়তা, তা হারিয়ে ফেলে হঠাৎ হঠাৎ করে ঢালের পরিবর্তন ঘটে যায় নদী খাতে এবং তার প্রভাব স্বরূপ নদীর যে স্বাভাবিক পদ্ধতি তা নষ্ট হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ত, নদী স্বাভাবিক ভাবে তার প্রবাহ পথে বিভিন্ন ধরনের বাঁক সৃষ্টি করে। এই বাঁকের একটি প্রান্তে সে দ্রুত ভূমিক্ষয় করে এবং অপর প্রান্তে সে তার ক্ষয়ীভুত পদার্থকে সঞ্চয় করে। এই ক্ষয় এবং সঞ্চয়ের বৈশিষ্ট্যই নদীর প্রবাহ পথের এবং নদীর চরিত্রের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যকে প্রতীয়মাণ করে। কিন্তু আকস্মিক ভাবে যদি নদীখাত থেকে বালুকারাশির উত্তোলন করা হয় তা হলে নদীর সেই ছন্দ হারিয়ে যায়। যার ফলে নদীখাতের বক্রতা প্রকৃতি পরিবর্তিত হয় এবং শুধু তাই নয় নদীর বাঁকযুক্ত প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কোথাও কোথাও নদী এই ধরনের কৃত্রিম ঢাল পরিবর্তনের ফলে সরলরৈখিক প্রবাহ পথ প্রস্তুত করে, যার ফলে পূর্বে নদীর যে বৈশিষ্ট্য তার সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হয়ে যায়। তৃতীয়ত, নদীখাতের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত জলধারা স্বাভাবিক ভাবে যদি তার গভীরতম অংশের ক্ষয়গত বৈশিষ্ট্যকে হারিয়ে ফেলে, তা হলে নদীর পার্শ্বক্ষয় অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়। যার প্রভাব স্বরূপ নিম্ন গতিপথে নদী অত্যন্ত দ্রুত গতিতে নদী পাড়ের ভাঙন সৃষ্টি করতে শুরু করে। এই ভাঙনের প্রকৃতি যেমন কোনও কোনও নদীতে নিম্নগতি পথে দেখা যায়। তেমনই আবার কোনও কোনও নদীতে উচ্চ গতিপথেও অতিরিক্ত পরিমাণে ভাঙন ঘটতে দেখা যায়।
এর ফলে বিস্তীর্ণ জনপদ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং নদীখাতের স্বাভাবিক চরিত্র পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বন্যা সংঘটিত হওয়ার যে সম্ভাবনা তা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে নদী পাড়ের ভাঙন বর্তমানে পৃথিবীর অধিকাংশ নদীরই একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। তবে এই বৈশিষ্ট্যের দ্বারা বর্তমানে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে জলধারাগুলি যেমন প্রভাবিত হচ্ছে, ঠিক একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা ঘটছে না। নদীখাত থেকে বালি চুরি করে নেওয়ার ফলে যে অবিন্যস্ত ঢাল সৃষ্টি হয় তার প্রভাবে নদীখাতের মধ্যেই নদীর গতিপ্রকৃতি পরিবর্তিত হতে থাকে এবং এর প্রভাবেই এত অতিরিক্ত পরিমাণে পার্শ্বক্ষয় এবং তার প্রভাবে নদীর ভাঙন।
চতুর্থত, অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বালুকারাশি উত্তোলন নদীর সঞ্চয় করার প্রকৃতিকেও পরিবর্তিত করে। যার ফলে নদীখাতের মধ্যে ঢালের আধিক্য বৃদ্ধি পায়। আবার এই ধরনের নদীখাত গুলি তাদের উচ্চ গতিপথে কোনও না কোনও জলাধারের দ্বারা রুদ্ধ হওয়ায় নিম্নগতিপথে ও মধ্যগতিপথে যে বিনুনিরূপী জননির্গম সৃষ্টি হয় তা তলদেশীয় ভূমির সঙ্গে দৃঢ় সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে পড়ে। যার ফলে পরবর্তী সময়ে নদীর গতিপ্রবাহ বৃদ্ধি পেলেও এই সঞ্চয়জাত পদার্থকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা নদীর আর থাকে না। তাই নদীর গতিপ্রবাহ চিরতরে রুদ্ধ হয়ে পড়ে।
জলাধারে যখন জল সঞ্চিত থাকে তখন নদীর এই বদ্ধ প্রবাহ খুব একটা ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু পরবর্তী সময় যখন জলাধার থেকে জল ছাড়া হয় তখন প্রবাহ পথের ঢাল অবিন্যস্ত হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে নদীতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ, নদী অববাহিকায় মোট প্রবাহিত জলের যে পরিমাণ তার সঙ্গে নদীখাতের জল ধারণ করার যে পরিমাণ তা কখনওই এক অবস্থায় থাকে না। যার ফলে নদীখাতের ভাঙন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয় প্রত্যেক বছর বর্ষাকালে এই সমস্ত নদীখাতগুলিতে প্রবল থেকে প্রবলতম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
পঞ্চমত, নদীখাত থেকে প্রচুর পরিমাণে বালি তুলে নেওয়া এবং তা যদি ঢালের বৈশিষ্ট্যগত প্রকৃতির সঙ্গে না মেলে তা হলে স্বাভাবিক ভাবে ভূমিভাগের ঢালের তারতম্যের সঙ্গে সঙ্গে নদীখাতের সঞ্চিত পলিরাশির চাপ ও উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পায়। যার প্রভাব স্বরূপ ভূমিভাগের সমস্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে ভার লাঘব জনিত কারণে নদীর এবং ভূমিভাগের ভারসাম্যতা বিনষ্ট হয়ে পড়ে। এর প্রভাব স্বরূপ ভূমিভাগে ভূমিকম্পের মতো শক্তিশালী প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হতে পারে।
অন্যদিকে আবার ভূমিভাগ ও নদীর সঙ্গে যে সম্পর্ক থাকে তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নষ্ট হয়ে পড়ে। এর ফলে নদীর স্রোতস্বিনী প্রবাহ পরিবর্তিত হতে থাকে এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভাবে নদীর পার্শ্বক্ষয় বৃদ্ধি পায়। যার প্রভাবস্বরূপ নদী পাড়ে ভাঙন অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ঘটে। ষষ্ঠত, ভূপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে নদীর জলের প্রবাহ বাস্তব ক্ষেত্রে আমাদের ভৌম জলের সংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। কিন্তু নদীখাত থেকে যত্রতত্র বালি তুলে নিলে নদীর ঢালের যে পরিবর্তন ঘটে, তার প্রভাব স্বরূপ নদীর প্রবাহ আকস্মিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে নদীর জলধারা দ্রুত গতিতে প্রবাহিত হয়।
যার প্রভাবে প্রবেশ্যতা এবং সছিদ্রতার দ্বারা যে পরিমাণ জল মাটির অভ্যন্তরে প্রবেশ করা উচিত তা করতে পারে না। তাই স্বাভাবিকভাবে ভৌমজলের ব্যাপক ঘাটতি দেখা যায়। কিন্তু উত্তরোত্তর ভৌম জলের চাহিদা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই স্বাভাবিকভাবে ভৌম জলস্তরের ঋতুগত উত্থান এবং অবনমন একটি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়। তার প্রভাব স্বরূপ ভূমিভাগের ধারণ করার ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং ভূমিভাগে এই ধারণ ক্ষমতাগত হ্রাস শহরাঞ্চল গুলিতে বড়সড় ভূমিধস সৃষ্টি করে। নদীর এই গতিপথে নদীর ভাঙা-গড়া খেলার মধ্যে বাস্তবিক ক্ষেত্রে নদী কিন্তু মানব কল্যাণে ব্রতী। শুধু মানুষ নয় মানুষের সঙ্গে বাস্তুতন্ত্রে বসবাসকারী অন্যান্য সমস্ত জীবগোষ্ঠী, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নদীর ওপর নির্ভরশীল। অতীতে এই জলধারাগুলি সমগ্র পৃথিবীকে সুজলা, সুফলা, শস্য শ্যামলা করে তুলত।
দিনের পর দিন আমাদের অপব্যবহার এবং তার সঙ্গে সঙ্গে নদীর গতিপথে অবাঞ্চিত হস্তক্ষেপ এই সমস্ত জলধারাগুলিকে নষ্ট করে ফেলেছ। যার ফলে আমরা স্বাভাবিক ভাবে ভূমিভাগকে দেখি রুক্ষ এবং শুষ্ক। মানুষের হস্তক্ষেপ একদিকে যেমন নদীখাতগুলিকে নষ্ট করেছে, তেমনই অপরদিকে কোথাও কোথাও জমির লোভে মানুষ নদী খাতের ওপরেই তাদের বসতি ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। কিন্তু তাদের এই নির্মাণ কার্যের পূর্বে একবারও তারা ভাবেনি। এই সমস্ত জলধারাগুলি যদি না থাকে তা হলে বাস্তবিক ক্ষেত্রে পৃথিবীতে আমাদের থাকাটাই কষ্টদায়ক হয়ে পড়বে। সুতরাং নদীকে নিয়ে ভাবা আমাদের অন্তরের ভাবনা থেকে আসা প্রয়োজন। নতুবা, নদীর মতো এই ধরনের বাস্তুতন্ত্র নির্ভর পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে। সমগ্র পৃথিবীব্যাপী সৃষ্টি হবে জল সংকট এবং শুধু তাই নয় মাটির তলার জলের যে সঞ্চয় তা সম্পূর্ণভাবে বিঘ্নিত হবে।
নদীর প্রবাহগুলি নষ্ট হয়ে গেলে বর্তমানে কলকাতা পুরসভার বেশ কিছু অঞ্চলে এই ধরনের প্রবাহিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলধারাগুলিকে ভুল পরিকল্পনার বশবর্তী হয়ে তাদের কার্যকরী বিষয়কে পর্যালোচনা না করে আমরা তাদেরকে এক একটি ছোট ছোট ড্রেনে পর্যবসিত করেছি এবং তাদেরকে চতুর্দিক দিয়ে ইট-কাঠ-পাথরে মুড়িয়ে দিয়েছি। যার ফলে কলকাতার মতো শহরের ক্ষেত্রে এটি একটি বিপজ্জনক সঙ্কেত। কারণ, এই সমস্ত জলধারাগুলি কলকাতার মাটির তলায় জলের জোগান দেয়। এই ছবি শুধুমাত্র কলকাতায় নয় পৃথিবীর আরও বেশ কিছু শহরে উন্নততর জীবন যাপনের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় হয়তো প্রশাসনে যারা আছেন তারা এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। কিন্তু এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পূর্বে তারা শুধুমাত্র মানুষের ভাল লাগার কথা ভাবছেন কিন্তু মানুষের ভাল থাকার কথা ভাবছেন না। যার ফলে আজ বিভিন্ন শহরের পারিপার্শ্বিক পরিমণ্ডল বিপন্ন হওয়ার পথে।
সুতরাং, বলা যেতে পারে আমরা দিনের পর দিন অবিবেচকের মত নদ-নদীগুলিকে যেভাবে ব্যবহার করে আসছি তা যদি দীর্ঘায়িত হতে থাকে এবং এই ধরনের নদী ব্যবহারের ক্ষেত্রে যদি যথোপযুক্ত পরিকল্পনা গৃহীত না হয় তা হলে ভবিষ্যতে এই সমস্ত নদী খাতগুলি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাবে এবং তার ফলে জল আমাদের কাছে দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়বে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাবে।