সম্পাদকীয়

কর্মসংস্থানে ইতিবাচক রাজ্য, সেই প্রয়াসের ফল মিলছে

A state that is positive in employment, its efforts are bearing fruit

Truth of Bengal: ‘পশ্চিমবঙ্গ এখন শিল্পের জন্য আদর্শ জায়গা। বহু শিল্পপতি এখানে বিনিয়োগ করতে চাইছেন। যার মধ্যে বহু তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রিক শিল্প সংস্থা রয়েছে।’ এই কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নিউটাউনে দেশের অন্যতম সেরা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস-এর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ এখন শিল্পের জন্য আদর্শ জায়গা। বহু শিল্পপতি এখানে বিনিয়োগ করতে চাইছেন। যার মধ্যে বহু তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রিক শিল্প সংস্থা রয়েছে।’ ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকে সামনে রেখে সিলিকন ভ্যালি তৈরি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে ২৭ হাজার কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে। প্রচুর কর্মসংস্থানও তৈরি হয়েছে। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এই রাজ্যে ক্ষমতা বদল হয়। বাম আমলে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে এতটা জোর দেওয়া হয়নি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গ এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম সেরা তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে। দেশের সমস্ত বড় বড় সংস্থার ক্যাম্পাস আছে এখানে। নিউটাউনের ভাঙড়ের হাতিশালায় গড়ে ওঠা ইনফোসিসের এই ক্যাম্পাস মূল শহর থেকে কিছুটা দূরে। তবে রাজ্য সরকারের তরফে রাস্তা থেকে শুরু করে সেখানে সব রকমের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে বাংলার মেধার কথা। তিনি বলেন, ‘‌বাংলায় যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম তখন কর্মসংস্থানের সুযোগ ছিল না। এখন তা হয়েছে। ইনফোসিস খুব বড় সংস্থা। তাতে কর্মসংস্থান বিপুল হবে। বাংলায় মেধা আছে। আমরা ভারতের মধ্যে এক নম্বরে আছি। গোটা বিশ্বে বাংলার ছেলেমেয়েরা কাজ করছে। এখানে বহু কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়র আছে। আমাদের হিউম্যান ট্যালেন্ট আছে। তাই এখানে এখন আইটি চাকরি বাড়ছে।’

নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া ৩–এর একেবারে শেষ প্রান্তে ভাঙড়–২ ব্লকের হাতিশালা মৌজায় ইনফোসিসকে ৫০ একর জমি দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। নতুন এই ক্যাম্পাসে ৪ হাজার ছেলে–মেয়ের কর্মসংস্থান হবে। মোট ৫০ একর জমি নিয়েছে ইনফোসিস। তার মধ্যে ১৭ একর জমির উপর তৈরি হচ্ছে এই নয়া ক্যাম্পাস। আগামী দিনে বাকি অংশেও সম্প্রসারণের কাজ করা হবে। তখন আরও কর্মসংস্থান হবে।

রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করার বিষয়টি প্রথম থেকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে বাংলার সরকার। সেই প্রয়াসের ফসল দেখা যাচ্ছে।

Related Articles