আলু চাষে আত্মনির্ভর হওয়াই লক্ষ্যে পেরুর সংস্থার সঙ্গে চুক্তি কৃষি দফতরের
Department of Agriculture

The Truth of Bengal: আলু উৎপাদনে রাজ্যকে আরও স্বনির্ভর করতে দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি। রাজ্যের কৃষি দফতর এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ওই সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আলু বীজের বিকল্প হিসাবে অ্যাপিকাল রুটেড কাটিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। এক্ষেত্রে চিরাচরিত প্রথার আলু বীজ ব্যবহার না করে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে প্রথমে আলুর চারা তৈরি করা হয়। তারপর সেই চারা লাগোনো হয় জমিতে।
রাজ্যের কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষা চালিয়ে ঠিক হবে কীভাবে এই প্রযুক্তি এখানে কাজে লাগানো যায়। এবিষয়ে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আলু উৎপাদনে সম্পূর্ণ স্বনির্ভর হতে চায়। সেই লক্ষ্যেই নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এক বছরে রাজ্যে প্রায় ছ’লক্ষ মেট্রিক টন আলু বীজের প্রয়োজন পড়ে। এর ৭৫ শতাংশই নিয়ে আসতে হয় পাঞ্জাব থেকে। নয়া প্রযুক্তি ব্যবহারের পর তার আর প্রয়োজন পড়বে না বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যে প্রচুর আলু উৎপাদন হলেও বাংলার আলু চাষিদের বীজের জন্য তাকিয়ে থাকতে হতো পাঞ্জবের দিকে। অনেক বেশি দাম দিয়ে বাজার থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হতো। এই অবস্থা থেকে নিস্তার পেতে কয়েক বছর আগে রাজ্যের সরকারি কৃষিখামারে ভাইরাস-মুক্ত উন্নত মানের আলু বীজ তৈরির কাজ শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী যার নাম দিয়েছিলেন ‘বঙ্গশ্রী’। সেই বীজই এখন ব্যবহার করেন চাষিরা। এবার আলু চাষে আরও আত্মনির্ভর হতে পেরুর সঙ্গে চুক্তি করল রাজ্য।