আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মহিলা কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি বিজেপির, ঝুলল প্রতীকী তালা
BJP's women's commission siege program to protest RG kar case, hang symbolic lock

Truth Of Bengal : আরজি কর ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তদন্তের গতি কেন এত ধীর তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সিবিআই এই তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৬ দিন কেটে গেলেও নতুন করে কেউ গ্রেফতার হয়নি। এই নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে সিবিআই এর বিরুদ্ধে। হতাশ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। এমনকি তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে হতাশা শোনা গিয়েছে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের গলাতেও। এরই মধ্যে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে গেরুয়া রাজনীতি। ছাত্র সমাজের নাম করে কলকাতা ও হাওড়ায় সন্ত্রাসী চেহারা দেখেছে বাংলা। নিন্দার ঝড় চারিদিকে। এরই মধ্যে বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যরা এবার রাজ্য মহিলা কমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিল।
শুক্রবার বিজেপির এই কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিজেপি মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে রাজ্য মহিলা কমিশনে তালা লাগাও কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় সল্টলেকে। অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরীদের নেতৃত্বে মহিলারা পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের দফতরে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। মিছিল আটকালে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। বাধা পেয়ে রাস্তায় বসে স্লোগান দিতে থাকে বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা। বিজেপির মহিলা মোর্চার এই কর্মীসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, আরজিকোর ঘটনার তদন্তে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই ঘটনার তদন্তে কোন সফলতা পায়নি এখনও। বিজেপি যদি অভিযান চালাতে হয় তাহলে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে অভিযান করতে পারে। তারা সিবিআইয়ের কাছে কেন দাবি তুলছে না তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোন গতি নেই কেন? কেন নতুন করে কোন অপরাধী ধরা পড়লো না? কেন এখনও পর্যন্ত নির্যাতিতার পরিবার বিচার পেল না। সেখানে রাজ্য মহিলা কমিশনের সঙ্গে বিচারের তো কোন যোগ নেই। শুধুমাত্র রাজনীতির বাজার গরম করতেই এ ধরনের কর্মসূচি বলে অভিযোগ তৃণমূলের। রাজ্যের শাসক দলের দাবি, রাজ্য মহিলা কমিশনে অভিযান না চালিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দপ্তরে অভিযান করুন অগ্নিমিত্রা-লকেট-দেবশ্রীরা।
গত ২৭ আগস্ট ছাত্র সমাজের নামে নবান্ন অভিযানের সামিল হয়েছিল কার্যত বিজেপি। সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল কলকাতা ও হাওড়া জুড়ে। আন্দোলনকারীদের ইট-লাঠির আঘাতে গুরুতর যখন বহু পুলিশকর্মী। রাজ্যের শান্তির পরিবেশকে নষ্ট করার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে বলে মনে করে তৃণমূল কংগ্রেস। যখন বাংলার মানুষ বিজেপির এই রাজনৈতিক চক্রান্ত ধরে ফেলেছে তখন মহিলাদের দিয়ে মহিলা কমিশনে রাজনীতি করতে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ এই অপচেষ্টা রুখে দেবে বলে দাবদাবি তৃণমূলের।