ভ্রমণ

বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ভিতরে সরস্বতীপুর চা বাগান

Natural beauty of Baikunthpur forest

The Truth of Bengal: একপাশে নদী, অন্যপাশে জঙ্গল, নিস্তব্ধে ভরা পরিবেশ, মাথার উপর দিগন্ত জুড়ে নীল আকাশ, ভেসে বেড়াচ্ছে মেঘ এই সব কিছু একসঙ্গে পেতে চাইলে পৌঁছে যেতে হবে বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলের ভিতরে থাকা সরস্বতী পুর চা বাগানে। যেখানে গেলে সারা সপ্তাহের ক্লান্তি নিমেষের মধ্যে দূর হয়ে যাবে আপনার। বৈকুন্ঠপুর জঙ্গল। যত বলা যায় এই জঙ্গল সম্পর্কে ততো কম পড়ে শব্দ। এই জঙ্গল অবস্থিত ডুয়ার্সের পশ্চিম ভাগে ও হিমালয়ের পাদদেশের কিছুটা দক্ষিণভাগে।

দার্জিলিং জলপাইগুড়ি দুই জেলাতেই অল্প অল্প করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই জঙ্গল। আর এই জঙ্গলের ঠিক ভিতরেই রয়েছে সরস্বতী পুর চা বাগান। পাহাড়, জঙ্গল, নদী – প্রকৃতির পানবন্ত রূপ দেখতে পাওয়া যায় এই জায়গায়। বেলাকোবা শহর থেকে যেতে হবে খানিকটা উত্তরের দিকে গেলে মিলবে গেটবাজার। সেখান থেকে উত্তরের দিকে দেখবেন পড়বে ক্যানেল ব্রীজ। সেই ব্রীজ পেরিয়ে চলে যেতে হবে মান্তাদারি জঙ্গল।

আর এই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আঁকাবাঁকা পথ ধরে পৌঁছে যাওয়া যায় এই সরস্বতী পুর জঙ্গলে। এই জায়গার আরেক নাম রয়েছে তা হল নিপানিয়া। যেদিকেই তাকাবেন নজরে পড়বে বৈকুন্ঠপুর ফরেস্টের ঘন জঙ্গল। এই জঙ্গলের পাশ দিয়ে পূর্বদিকে এগোলেই উঁচু নিচু পর্বত। আর সেখান দিয়ে নিজের গতিতে বয়ে চলেছে তিস্তা নদী। এই মনোরম পরিবেশে প্রকৃতির অপরূপ শোভা দেখতে দেখতে সময় কেটে যাবে আপনার। একপাশে সারিবদ্ধ ভাবে ভেলভেটের ন্যায় বিছিয়ে থাকতে দেখবেন সবুজ চা বাগান।

এখানকার বিশেষ আকর্ষণ হল রবিবারের হাট। এই হাটকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হয় বনভোজন। এই হাটেই পাওয়া যায় উনান, মাংস এমনকি রান্না করার লোক ও। তাই যারা চান পিকনিক করতে তারা সরস্বতী পুর চা বাগান গেলে অবশ্যই থাকবেন রবিবার পর্যন্ত। হাট দেখে ছোট খাটো পিকনিক করে তারপর রওনা দেবেন এখান থেকে। আপনি চাইলে এই জায়গা থেকে ঘুরে নিতে পারেন গজলডোবা। সরস্বতী পুর চা বাগান থেকে গজলডোবা যেতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতো। গজলডোবাতে রাত্রি যাপনের জন্য পেয়ে যাবেন থাকা খাওয়ার উপযুক্ত হোটেল।

Related Articles