কলকাতারাজ্যের খবর

হঠাৎ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির কুণাল ঘোষ! কিন্তু কেন?

Kunal Ghosh suddenly appeared in the CGO complex! But why?

Truth Of Bengal: সোমবার সকালে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে হঠাৎ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে দেখা গেল । এ বিষয়ে তিনি জানান, তাঁর কাছে আরজি করের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের থেকে পাওয়া বেশ কিছু নথি রয়েছে। সেগুলি তিনি সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে চান। তাই তিনি সিবিআই দফতরে হাজির হয়েছেন। তবে তৃণমূল নেতা বলেন, এখানে তাঁর একটি অন্য কাজও রয়েছে।

সিজিওতে পৌঁছানর পর কুণাল বলেন, ‘‘অন্য একটি মামলায় আমার এখানে আসা। কিন্তু তার পাশাপাশি, আরজি করের কিছু জুনিয়র চিকিৎসক এবং প্রাক্তনী কয়েক দিন আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিছু বিষয়ে তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। আমি তাঁদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমার কাছে কেন এলেন? তাঁরা জানিয়েছিলেন, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের সময়ে আমি তাঁদের সময় দিয়েছিলাম। তাই এ ক্ষেত্রেও আমার কাছে এসেছেন।’’

এর সাথে কুণাল আরও বলেন যে, ‘‘আরজি কর হাসপাতালের উপর আমার দুর্বলতা রয়েছে। আমার বাবা এবং মা, উভয়ের সেখানকার পড়ুয়া ছিলেন। আমার জন্ম আরজি করে। জুনিয়র চিকিৎসকেরা জরুরি কিছু বিষয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মেডিক্যাল ভাষা সবটা আমি বুঝিনি। আমি বলেছিলাম, আর একটু পরিষ্কার করতে। তার মাঝেই এই দুর্ভাগ্যজনক হত্যাকাণ্ড আরজি করে ঘটে যায়। দোষীদের বা দোষীর ফাঁসি চাই আমি। আমার কাছে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা জানান, এই নথির কিছু প্রেক্ষিত থাকলেও থাকতে পারে। কী বিষয়ে এই নথি, আমি কারও নাম করতে চাই না। এই নথি আমি সিবিআইকে নিতে অনুরোধ করব। নিলে নেবেন। না নিলে না নেবেন। সিবিআই যদি মনে করে, এই তথ্য তাঁদের কাজে লাগবে, তবে তারা সেই জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।’’

সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এই নথিপত্র নিয়ে তিনি কলকাতা পুলিশের যোগাযোগ করেছেন নাকি করেন নি? তখন এই প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘আমার মনে হয়েছে, এতে যথেষ্ট তথ্য রয়েছে। তা সত্য না মিথ্যা, আমি যাচাই করিনি। বিষয়টি যেহেতু এখন কলকাতা পুলিশের হাতে নেই, তাই আমি তাদের হাতে এই তথ্য তুলে দিইনি। সিবিআই তদন্ত করছে। তাই তাদের হাতে দিতে এসেছি। কলকাতা পুলিশ তদন্ত করাকালীন আমার কাছে এই সংক্রান্ত লিখিত তথ্য ছিল না।’’

Related Articles