স্বাস্থ্য

রাতে শুচ্ছেন অথচ চোখে ঘুম নেই! এই রোগের শিকার নন তো আপনি?

Sleeping at night but no sleep! Are you not a victim of this disease?

Truth Of Bengal,Mou Basu: রাতে নির্দিষ্ট সময় ঘুমোতে যান মধুরিমা। কর্মব্যস্ত জীবন তাঁর। কর্পোরেট অফিসের গুরু দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি দক্ষ হাতে সংসারও সামলান। অথচ ইদানিং রাতে শুলেও ঘুমোতে পারছেন না মধুরিমা। চোখে নেই তাঁর ঘুম। সারাক্ষণ বিছানায় এপাশ ওপাশ করছেন। বারবার চোখ চলে যায় ঘড়ির দিকে। সমানে ভাবতে থাকেন কখন সকাল হবে, কখন দিনের আলো ফুটবে আর তিনি উঠে পড়বেন।

মধুরিমার মতো এমন সমস্যায় কি আপনিও ভুগছেন? তা’হলে এখনই সাবধান হন। আপনারা প্রত্যেকেই ‘sleep anxiety’ র শিকার। গবেষণায় দেখা গেছে, স্লিপ অ্যাংজাইটি বা ঘুম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগলে সারাক্ষণ পর্যাপ্ত ঘুম হবে না বলে চিন্তা হয়। এর ফলে ভালো করে ঘুমই হয় না। কোন সময় কতটা ঘুমোনো ভালো এটা নিয়েও অদ্ভুত চিন্তা হয়। অনেকে এনিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করতে থাকেন। সারাক্ষণ মনের মধ্যে বিশ্রাম নেওয়ার কথা ঘুরপাক খায়। অনেকে আবার ঘুম আসবে না বলে ঘুমোতে ভয় পায়। এর ফলে পরদিন সকালে সারাক্ষণ ক্লান্ত অনুভব হয়। শরীর দুর্বল লাগে। মনঃসংযোগ বিঘ্নিত হয়।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কী কী শারীরিক সমস্যা হতে পারে?

১) কম ঘুম হলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের কার্যকারিতার ওপর। মনঃসংযোগ, ধৈর্য্য, ফোকাস, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। এতে দৈনন্দিন কাজকর্মে অসুবিধা হয়। দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বাড়ে।
২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঘুম। কারণ, ঘুমোনোর সময় শরীরে সাইটোকিন প্রোটিন তৈরি হয় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩) ঘুম কম হলে হার্টের অসুখ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাইপার টেনশনের মতো ক্রনিক রোগের আশঙ্কা বাড়ে। কারণ, ঘুম রক্ত চাপ ও রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
৪) কম ঘুমোলে স্থুলতার আশঙ্কা বাড়ে। কারণ, কম ঘুমোলে শরীরে ঘ্রেলিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। লেপ্টিন হরমোনের নিঃসরণ কমে। ঘ্রেলিন হরমোন খিদে বাড়ায়। লেপ্টিন হরমোন পেট ভরাকে ইঙ্গিত করে।
৫) কম ঘুমোলে মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদের সমস্যা দেখা যায়। মন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
৬) কম ঘুম হলে মুড সুইং হয়। শরীর ক্লান্ত লাগে। মেজাজ বিগড়ে যায়। যৌন সংসর্গ কমে যায়।