
The Truth of Bengal: রাজ্যের আরজিকর হাসপাতালের অবাঞ্চিত ঘটনা কেউ মেনে নিতে পারছে না। রাজ্য সরকার এই ঘটনায় কড়া অবস্থান নিয়েছে। তবুও বিজেপি এই ইস্যুকে সামনে রেখে নানা কৌশল নিচ্ছে। এরমাঝে বিজেপি শাসিত রাজ্যে নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলায় তা নিয়ে কেন বিরোধীরা নীরব তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। উত্তরাখণ্ড, উড়িষ্যা থেকে বিহারের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, গেরুয়া শাসনে নারীর নিরাপত্তা কতটা উদ্বেগজনক জায়গায় রয়েছে।
নারী নির্যাতনের ঘটনা রাজ্যে বরদাস্ত করা হবে না। বাংলার সরকার নিরাপত্তা রক্ষায় কড়া অবস্থান নিচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় একথা স্পষ্ট হয়েছে। বাংলা যখন নারীর সম্মান রক্ষায় সজাগ,তখন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো একেবারেই এই বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। যারমাঝে কয়েকটি ঘটনা কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে কেন্দ্রের শাসকদের। ডবল ইঞ্জিনের সুরাজের তত্ব কাজ দিচ্ছে না বলে নানা ঘটনায় পরিস্কার।৩-৩টি ঘটনা চোখ খুলে দিয়েছে দেশবাসীর। হাথরাস উন্নাওয়ের কলঙ্কিত অধ্যায়ে যা নতুন মাত্রা জুগিয়েছে।
এই রাজ্যের ঘটনাকে সামনে রেখে রাজ্যের বিরোধীরা ময়দানে নেমেছে। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যে নির্যাতনের বহর বেড়ে চলায় তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে তা বলাই যায়। বাংলায় আরজি করের ঘটনায় প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করলেও ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বিজেপি। কেন্দ্রের বিজেপি নেতারাও সরব হচ্ছেন। কিন্তু, উত্তরাখণ্ডের ঘটনায় তাঁদের মুখে কোনও কথা নেই। দাবি উঠছে না কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল পাঠানোর। জানা গিয়েছে, কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এসেছিলেন দুই মহিলা। কার্ডিওলজি বিভাগে ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই হাসপাতালের এক আবাসিক চিকিৎসক ওই দুই মহিলাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।