মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা
Malda Gorbanga University student attempted to be hacked to death

The Truth Of Bengal : মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলকালাম কান্ড। কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয় এক ছাত্রীকে। ক্লাস চলাকালীন ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রীকে কোপ মেরে হত্যার চেষ্টা করে এক যুবক। পরে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক। দুজনেই আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। অভিযুক্ত যুবক গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী বলে জানা গেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা যায়, অসমের বাসিন্দা অঙ্কে স্নাতকোত্তরের ওই ছাত্রী। গণিত বিভাগের সামনেই পরপর ছুরির কোপ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায় যে, অভিযুক্ত যুবক গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে পড়াশোনা করতেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান বিভাগের বিল্ডিংয়ে ক্লাস চলছিল, ঠিক সেই সময় আচমকা করিডোরে এসে ওই ছাত্রীকে কোপ মারে ওই যুবক। করিডোরের মেঝেতে পরে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রীর দাবি, এদিন গণিত বিভাগে পরীক্ষা চলছিল, তখনই এই ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, আক্রান্ত ওই ছাত্রী অসমের বাসিন্দা। কোপ মারার পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিলেন লতিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তার কথায়, চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখি মেয়েটির গায়ের উপর চড়ে বসে কোপ মারছে ওই যুবক এবং সাথে নিজের গলাতেও কোপ বসাচ্ছে। আমরা বারণ করলেও ও কথা শোনেনি। ওর হাতে ছুরি থাকায় আমরা কাছে যেতে পারিনি।
লতিফুল আরও জানিয়েছেন, এরপর অন্য একটি গেট দিয়ে এক যুবক বাঁশ নিয়ে এসে তাকে আঘাত করলে সে আক্রান্ত মেয়েটিকে ছেড়ে দেয় ও দোতলায় উঠে যায়। সেখানে গিয়ে সে নিজেকে আবার চুরি দিয়ে আঘাত করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল দলের সদস্য সুমিতা সরকার। তিনি বলেন, ‘‘খবর পেয়ে এসে দেখি, ওই ছাত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তার গলায় তুলো চেপে ধরে রক্ত বন্ধের চেষ্টা করি। এর পর নিজের ওড়না ছেলেটির গলায় বেঁধে দিয়েছি, যাতে রক্ত বন্ধ হয়।’’ এরপর দুজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হয়।
কী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্রীর উপর হামলা চালানো হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাজীব বলেন, ‘‘আক্রান্ত ছাত্রী এবং অভিযুক্ত ছাত্র, দু’জনেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের। এখন কী ভাবে ওঁদের জীবন বাঁচানো যায়, সেই বিষয়টাই দেখছি। উপাচার্যও এই বিষয়টি দেখছেন। হঠাৎ করে এই কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। আগে দু’জনের জীবনসংশয় কাটুক। তার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’