শান্তিনিকেতনে সরকারি জমির উপর বেআইনি বিলাসবহুল রিসর্ট,ব্যবস্থা নিতে তৎপর জেলা প্রশাসন
Illegal luxury resort on government land in Santiniketan

The Truth of Bengal: সরকারি জমি জবরদখল কোনওভাবেই মেনে নেবে না বাংলার সরকার। কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো প্রশাসন আইনমাফিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিছু জায়গায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরমাঝে শান্তিকেতনে দেখা গেল সরকারি জমিতে গড়ে উঠেছে বৃদ্ধাশ্রম থেকে বিলাসবহুল রিসোর্ট। আগে এটি বৃদ্ধাশ্রম তৈরি হলেও পরবর্তী সময়ে বৃদ্ধাশ্রমের ভোল বদলে গড়া হয় বিশাল এক রিসর্ট। আমোদপ্রমোদের জায়গা হয়ে উঠেছে জেলা পরিষদের তৈরি সেই রুমগুলি। শান্তিনিকেতনের বল্লভপুরের বেনেপুকুরডাঙাতে গড়ে ওঠা এই নামী রিসর্ট তৈরির ইতিহাস ঘাটলে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। তথ্য অনুযায়ী, বোলপুর-শ্রীনেকিতেন পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে রয়েছে বল্লভপুর মৌজার জেএল ৬৩ নম্বর দাগের এই রিসর্টটি । কিন্তু আসলে ওই জায়গাটি জেলা কালেক্টর অর্থাৎ জেলাশাসকের দফতরের অধীনস্থ। সেখানে বীরভূম জেলা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেয় বিল্ডিং বানানোর। ৮টি রুম বিশিষ্ট একটি বৃদ্ধাশ্রম বানানো হয়। যেখানে ৬০ বছরে উর্দ্ধে মানুষজন থাকবেন বলে ঠিক হয়। এরপর ২০১৭ সালে জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির বৈঠকে নানুরের বাসাপাড়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে জেলা পরিষদ ১ বছরের জন্য লিজ দেয়। সেইসময় স্থায়ী কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়, ওই সংস্থার কোনও অধিকার নেই ওই জমির উপর। এমনকী জেলা পরিষদের তৈরি ওই বিল্ডিংএর উপর।বিরোধীরা এই ঘটনায় মুখ খুলছে।
২০২২ সালে বৃদ্ধাশ্রমটির উপর বিল্ডিং তৈরি, রেস্টুরেন্ট বাড়ানোর জন্য অনুমতি দিয়ে দেয় তৎকালীন জেলা পরিষদ বোর্ড। এখন সেই বৃদ্ধাশ্রমে না আছে কোনও বৃদ্ধ মানুষ না আছে প্রশাসনের নজরদারি। তার বদলে রমরমিয়ে চলছে সুইমিং পুল যুক্ত বিশাল এক রিসর্ট। এতদিন এই সত্য চাপা ছিল। এবছর জেলা পরিষদ স্থায়ী সমিতির বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হয়।জেলাপরিষদ আইন মেনে ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দেন কাজল শেখ।
জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিচ্ছে, আর কোনও লিজ ভাড়া নেওয়া হয়নি ওই সংস্থা থেকে। প্রশ্ন উঠছে, সরকারি এত দামী সম্পত্তি কীভাবে বিলাসবহুল রিসর্ট হয়ে যেতে পারে? আর সেক্ষেত্রে পূর্ববর্তী জেলা পরিষদ বোর্ডের ভূমিকা ঠিক কেমন ছিল সেই প্রশ্নও উঠছে।তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পথে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত জেলাপরিষদ।