ডেঙ্গু কীভাবে আপনার মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রকে খারাপভাবে প্রভাবিত করতে পারে? জানুন…

The Truth of Bengal : বর্ষাকালে আমরা গরম থেকে স্বস্তি পাই কিন্তু এই বর্ষাকালেই অনেক রোগও সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই সমস্ত রোগ সংক্রমণ, বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস সম্পর্কিত। বৃষ্টি নামলেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ডেঙ্গুতে, প্লেটলেটগুলি দ্রুত হ্রাস পেতে শুরু করে। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে ডেঙ্গু শুধুমাত্র শরীরের উপরই নয়, মস্তিষ্ক এবং শরীরের সমগ্র স্নায়ুতন্ত্রের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলে।
মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়। বর্ষাকালে মশা দ্রুত বংশবৃদ্ধি শুরু করে। তবে এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি ফ্লুর মতোই। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে ডেঙ্গু আমাদের শরীরের স্নায়ুতন্ত্রকেও প্রভাবিত করে। ডেঙ্গুর উপসর্গ নানাভাবে দেখা যায়। কিন্তু হাজার হাজারের মধ্যে একজনই মস্তিষ্ক সম্পর্কিত উপসর্গ দেখায়। এতে ডেঙ্গু ভাইরাস মস্তিষ্কে পৌঁছায়। যার কারণে শরীরে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কিত অনেক উপসর্গ দেখা দেয়। এই রোগের নাম ডেঙ্গু এনসেফালাইটিস।
হাজারের মধ্যে একজনের মধ্যে ডেঙ্গুর স্নায়বিক লক্ষণ দেখা যায়। তবে এর ঘটনা খুবই কম। এর দ্বারা সৃষ্ট রোগের মধ্যে রয়েছে এনসেফালাইটিস, মেনিনজাইটিস এবং মাইলাইটিস। এই অবস্থায় ভাইরাস রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছায়। যার কারণে এটি মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে ফুলে যায় এবং মেরুদন্ডে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং সংক্রমণ ঘটায়।
ডেঙ্গু এনসেফালাইটিস শক সিনড্রোম সৃষ্টি করে। এটি মানুষের মস্তিষ্কের সাথে যুক্ত। ডেঙ্গু রোগের কারণে মানুষের মধ্যে স্নায়বিক লক্ষণ দেখা দেয়। যাকে এনসেফালাইটিস বলে। এই রোগ মানুষের মনে খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। এই কারণে, একজন ব্যক্তির মানসিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন ঘটে। ব্যক্তিটি কোমাতেও যেতে পারে।
ডেঙ্গু এনসেফালাইটিসের স্নায়বিক লক্ষণ
- ব্যক্তির স্নায়ুতন্ত্র সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- ব্যক্তিটি মাঝে মাঝে কোমাতেও যেতে পারে
- ব্যক্তির চিন্তা ও বোঝার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে যায়।
- মানুষের মনে অনেক ধরনের সমস্যা শুরু হয়।