মসনদের লড়াই

lok sabha election 2024: শেষ দফায় ভোট তৃণমূলের দুর্ভেদ্য-ঘাঁটিতে, নজর থাকবে কোন কোন কেন্দ্রের দিকে?

lok sabha election 2024: In the last round of voting Trinamool's impregnable base, will focus on which center

The Truth of Bengal: মাঝে আর একদিন। শনিবার রাজ্যের নয়টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। সপ্তম তথা শেষ দফায় রাজ্যের দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার, জয়নগর ও মথুরাপুর কেন্দ্রের ভোটাররা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে এই নয়টি কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন। ২০২৪ এর লোকসভা ভোটেও সবকটি আসন ধরে রাখতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে বিরোধীরা দুই একটি আসন ছিনিয়ে নিয়ে খাতা খুলতে চাইছে। এই নয়টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে একাধিক নজর কাড়া কেন্দ্র। বিশেষ করে ডায়মন্ড হারবার, বসিরহাট এবং কলকাতা উত্তরের দিকে নজর থাকবে সকলের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে ডায়মন্ড হারবারে এক-পেশো লড়াই হচ্ছে। তবে যেহেতু এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাই বাড়তি আকর্ষণ থাকছে। অভিষেকের লক্ষ্য গতবারের জয়ের মার্জিনকে ছাড়িয়ে যাওয়া। রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটে জয়লাভ করা। আরেকটি নজরকাড়া কেন্দ্র বসিরহাট। বসিরহাট কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে সন্দেশখালি। তাই এই কেন্দ্রের দিকে নজর থাকছে সকলেরই।

গত লোকসভা নির্বাচনে এই বসিরহাট কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী নুসরত জাহান সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ভোটে বিজয়ী হন। যেখানে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ৫৫ শতাংশ ভোট সেখানে বিজেপির সায়ন্তন বসু পেয়েছিলেন মাত্র ৩০ শতাংশ ভোট। পাঁচ বছর পর আবারও নিজেদের সাংসদ বেছে নেবেন এখানকার নাগরিকরা। একদিকে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম ও প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। গত কয়েক মাসে সংবাদ শিরোনামে বারে বারে উঠে এসেছে সন্দেশখালি। একদিকে বিজেপির নিশানায় রাজ্যের শাসক দল অন্যদিকে স্টিং অপারেশনে উঠে আসা বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ। সাদা কাগজে সই করিয়ে নারী নির্যাতনের মিথ্যে অভিযোগ দায়ের! বসিরহাটের ভোটে কতটা প্রভাব পড়বে এই সন্দেশখালি? তার উত্তর মিলবে আগামী ৪ জুন। আরও একটি নজর কাড়া কেন্দ্র কলকাতা উত্তর। এই কেন্দ্র থেকে এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দোপাধ্যায়। তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ ছিল কিছুটা। পরে অবশ্য সব ভুলে গিয়ে সুদীপের সমর্থনে ঝাঁপিয়ে পড়েন সবাই।

অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী দলত্যাগী তাপস রায়। ভোটের সামান্য কিছুদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই ‘পদ্ম’ প্রার্থী। এই নিয়ে বিজেপির অন্দরেও ক্ষোভ রয়েছে। তার প্রভাব কী পড়বে ভোট বাক্সে? অন্যদিকে নজরে থাকছে দমদম লোকসভা কেন্দ্রও। এবারও তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে লড়াইয়ের ময়দানে সৌগত রায়। প্রতিপক্ষ শিবিরে রয়েছেন বিজেপির শীলভদ্র দত্ত ও সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী। ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অনেকেই। দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে তৃণমূলের মালা রায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরী। তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্গ হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ কলকাতা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গতবারে রায়গঞ্জ থেকে বিজয়ী বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরীকে এক প্রকার ঠেলে পাঠানো হয়েছে দক্ষিণ কলকাতায়। নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে সেইভাবে দেখা যাইনি বলেই রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের মত। শেষ দফায় বাকি কেন্দ্র গুলির দিকে তেমন একটা প্রচারের আলো ছিল না। সপ্তম তথা শেষ দফায় তৃণমূলের এই দুর্ভেদ্য ঘাঁটি নয় কেন্দ্রে কী ফলাফল হয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

Related Articles