রাজ্যের খবর

কার্তিক মহারাজের মুখে বিজেপি স্তুতি, নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ আনেন মমতা

BJP praises Karthik Maharaj, Mamata specifically accuses

The Truth of Bengal: সাধুসন্ত নিয়ে রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বিরোধীদল গুলি। রেজিনগরের কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মহারাজের সঙ্গে বিজেপি যোগ স্পষ্ট। প্রকাশ্যে এসেছে সেই ভিডিও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিরোধী নন। রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ বা ইসকনের সন্ন্যাসীদের কোন অসম্মান করেননি। দুটি দফার নির্বাচন বাকি। আগামী ২৫ মে পঞ্চম দফা এবং ১ জুন সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন। এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার শেষ দিকে এসে বঙ্গ রাজনীতিতে ঢুকে পড়েছে ‘সাধু-সন্ত’। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ আনেন। আর তা নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টতই জানিয়েছেন, কোন প্রতিষ্ঠানের বিরোধী তিনি নন।

কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতা তিনি করেননি। রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ বা ইসকনের সন্ন্যাসীদের কোন অসম্মান করেননি। কার্তিক মহারাজের নামে রেজিনগরের আশ্রম থেকে লোক ক্ষ্যাপানোর নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। নির্বাচনী জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই বলেন সাহস থাকলে বিজেপি করুন, লুকিয়ে চুরিয়ে নয়। ভারত সেবাশ্রম সংঘের এই মহারাজের বিজেপি যোগের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি নেত্রী লোকের চট্টোপাধ্যায় কে বসিয়ে তাদের স্তুতি করতে দেখা গিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বারংবার ছুটে গিয়েছেন। ইস্কন নগরী গড়তে জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার।

রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সংঘে বারংবার ছুটে গিয়েছেন মমতা, যোগ দিয়েছেন তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রতি সহৃদয়। যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কটু কথা বলছেন তা তাদের ব্যক্তিগত মত। ভারত সেবাশ্রম সংঘ এ ধরনের কথাকে সমর্থন করে না।” বিরোধী দলগুলি সাধু-সন্ত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেও বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন যে মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই রয়েছে তা তাদের বিবৃতিতেই প্রকাশ পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতা করেননি। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষ একজনের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন।

Related Articles