
The Truth of Bengal: মনিপুরে পুলিশের কাছে গিয়েও সাহায্য পাননি দুই নির্যাতিতা, চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি সিবিআই এর। ঘটনার মুহূর্তে দাঙ্গাবাজদের হাত থেকে বাঁচতে পুলিশের সরকারি গাড়িতে আশ্রয় নেয় ওই দুই মহিলা। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরাই ওই দুই মহিলাকে দাঙ্গাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে, উল্লেখ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিটে।
মনিপুরে পুলিশই দুই মহিলাকে দাঙ্গাকারীদের হাতে তুলে দিয়েছে, চার্জশিটে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইএর। গত বছর ৪ মে মণিপুরে কুকি ও জোমি সম্প্রদায়ের দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয় এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠে গোটা দেশজুড়ে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে দাঙ্গাকারীরা পুলিশের কাছ থেকেই ওই দুই মহিলাকে নিয়ে যায় তারপর বিব্রস্ত করে ঘোরানো হয় তাদের। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, কাংপোকপি জেলায় পুলিশের সরকারি গাড়িতে আশ্রয়ের জন্য ছুটে যায় ওই দুই মহিলা। তাদের অন্য কোথাও নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন জানান তারা। কিন্তু গাড়ির চাবি না থাকার কারণ দেখিয়ে, প্রায় এক হাজার দাঙ্গাকারীদের হাতে ওই দুই মহিলাকে তুলে দেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা।
ঘটনার প্রায় দুমাস পর গত বছর জুলাই মাসে মহিলাকে দুই মহিলাকে নগ্ন করে কাটানোর ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর ১৬ অক্টোবর গুয়াহাটির বিশেষ জজ সিবিআই এর বিশেষ আদালতে ছয় অভিযুক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মেইতিদের কাছে রাইফেল, এসএলআর, ইনসাস এবং .303 রাইফেলের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র ছিল। প্রাণ বাঁচাতে অন্যদের মতো পালাচ্ছিলেন ২ মহিলা। তাদের মধ্যে একজন ভারতীয় সেনা জওয়ানের স্ত্রী। অবশেষে সেই মামলায় চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।