গোটা দেশেই সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে হনুমান জয়ন্তী, কিন্তু জানেন এমন ২টি জায়গা রয়েছে যেখানে পূজিত হন না পবনপুত্র
But know there are 2 places where Pavanputra is not worshipped

The Truth of Bengal, মৌ বসু : গোটা দেশেই মঙ্গলবার সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে হনুমান জয়ন্তী। কিন্তু এই দেশেই এমন ২টি জায়গা রয়েছে যেখানে পূজিত হন না পবনপুত্র হনুমান। পুরাণ কাহিনীতে বলা হয়েছে, যুদ্ধে লক্ষ্মণ গুরুতর জখম হন। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ সুষেণ জানান সঞ্জীবনী টোটকায় একমাত্র প্রাণ রক্ষা পেতে পারে লক্ষ্মণের। কিন্তু কোথায় মিলবে সঞ্জীবনী? সুষেণ পবনপুত্র হনুমানকে জানান গন্ধমাদন পর্বতে সঞ্জীবনী মিলবে। কিন্তু সঞ্জীবনী কেমন দেখতে তা চিনতে পারেননি পবনপুত্র হনুমান। তাই লক্ষ্মণের প্রাণ বাঁচাতে ঘাড়ে করে গোটা গন্ধমাদন পর্বত তুলে নিয়ে আসেন শক্তিশালী বীর হনুমান।
উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলায় অবস্থিত ছবির মতো সুন্দর গ্রাম দ্রোণাগিরি। পাহাড়ের কোলে ছবির মতো সুন্দর এই গ্রামের বাসিন্দারা মনে করেন বিশল্যকরণী সঞ্জীবনীর খোঁজে আস্ত গন্ধমাদন পর্বত ঘাড়ে নিয়ে আসার সময় পবনপুত্র হনুমানের কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাঁদের গ্রাম দ্রোণাগিরি। কারণ, পবনপুত্র হনুমান গন্ধমাদন পর্বতের পাশাপাশি কাঁধে করে নিয়ে এসেছিলেন তাঁদের আস্ত গ্রামকেও। তাই না বলেকয়ে একাজ করায় আজও দ্রোণাগিরির কোনো বাসিন্দা ক্ষমা করেননি পবনপুত্র হনুমানকে।
উত্তরাখণ্ডের এই গ্রামের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের একটি গ্রামেও কোনো ভাবে পুজো করা হয় না পবনপুত্র হনুমানের। মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে দৈত্যান্দুর নামে এক গ্রাম। সেখানকার বাসিন্দারা পবনপুত্র হনুমান নয় নিম্ব দৈত্য নামে এক রাক্ষসের পুজো করেন। শুধু পুজো করা থেকে বিরত থাকাই নয় এগ্রামের কারোরই নাম হনুমানের নামে রাখা হয় না। এমনকি জীবনে অশুভ ঘটবে বলে মারুতি গাড়িও কেউ কেনে না।
পুরাণ মতে, দণ্ডকারণ্যের জঙ্গলে নিম্ব দৈত্য আর হনুমানের মধ্যে তুমুল লড়াই হয়। দুজনেই ছিলেন রামভক্ত। দুজনেই আরাধ্যের নাম নিয়ে স্মরণ করেন। দণ্ডকারণ্যের জঙ্গলে শ্রীরামচন্দ্র দেখা দেন দুজনকেই। নিম্ব দৈত্যর ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে রামচন্দ্র বর দেন দণ্ডকারণ্যে একমাত্র নিম্ব দৈত্যেরই পুজো করা হবে। সেই থেকে মরাঠি নববর্ষ গুড়ি পাড়োয়ার দিন এই গ্রামের বাসিন্দারা নিম্ব দৈত্যর পুজো করেন। এমনকি, কেউ হনুমান চালিশাও পাঠ করেন না।