দুধ চা তো অনেক খেলেন, শরীর সুস্থ রাখতে এবার বানিয়ে ফেলুন নারকেল দুধের চা
You drink a lot of milk tea, now make coconut milk tea to keep your body healthy

The Truth Of Bengal, Mou Basu: চায়ের কাপে তুফান তুলে নানান বিষয় নিয়ে তর্কপ্রিয় বাঙালি ধীরে ধীরে স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠছে। তাই চিরাচরিত দুধ চা বা লিকার চা, দুধ, চিনি দিয়ে কফি বা ব্ল্যাক কফির পাশাপাশি নানান রকম পানীয় আজকাল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেমন, নারকেলের দুধের চা। বসন্তে দিনের ও রাতের তাপমাত্রার হেরফের নজরে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ঠিকঠাক রাখতে অবশ্যই খান নারকেলের দুধের চা। কারণ, নারকেলের দুধ অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। হার্টের বন্ধু নারকেলের দুধ। নারকেলের দুধে মেলে মিডিয়াম চেন ট্রাইগ্লিসারাইড (MCT)। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে এমসিটি এনার্জি স্টিমিউলেট করে থার্মোজেনেসিস নামের একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। চর্বি গলিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ভুঁড়ি কমায়। ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে এমসিটি ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়। এই প্রক্রিয়া মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। ইনসুলিন রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে সব খাবারে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট আর হাই কোলেস্টেরল থাকে তা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। কিন্তু নারকেলের দুধ ব্যাড কোলেস্টেরল বা লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (LDL)- এর মাত্রা বাড়ায় না। বাড়ায় গুড কোলেস্টেরল বা হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (HDL)-এর মাত্রা। এইচডিএল কোলেস্টেরল হার্ট ভালো রাখে।
আসুন দেখে নিই নারকেলের দুধের চা কতটা উপকারী?
১) সাধারণ চা বা কফির তুলনায় শরীরকে বেশি পরিমাণে আর্দ্র রাখে নারকেলের দুধের চা। গরমে বাইরে বেরোলে শরীরে ইলেকট্রোলাইট বা সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। তাই গরমের মধ্যে শরীরকে আর্দ্র রাখতে ও প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে অবশ্যই খান নারকেলের দুধের চা।
২) নারকেলের দুধে থাকে মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড (এমসিএফএএস) যা খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে। তাই নারকেলের দুধ যখন চায়ের সঙ্গে মেশে তখন তা বদহজম, পেট ফোলা, পেট ফাঁপার সমস্যা দূর করে।
৩) নারকেলের দুধে lauric acid থাকে যা ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাসের সংক্রমণ আটকায়। তাই নিয়মিত নারকেলের দুধের চা খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়াও চায়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে বলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
৪) নারকেলের দুধে মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড (এমসিএফএএস) থাকে বলে অল্পতেই পেট ভরে যায়, খাইখাই ভাব কমায়। বাড়তি চর্বি জমা হয় না। এছাড়াও চায়ে ক্যাফিন থাকে যা সহজে মেদ গলাতে সাহায্য করে।
৫) নারকেলের দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ আছে যা ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। নারকেলের দুধে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন প্রোটিনের নিঃসরণ বাড়ায় যা ত্বককে টানটান রাখে। নারকেলের দুধের আর্দ্রতা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। এছাড়াও চায়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ত্বকের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া আটকায়।