
The Truth of Bengal: আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। বেজে গিয়েছে নির্বাচনের দামামা। আর এবার অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ন্যায় বাংলায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল সিপিএম। প্রথম দফায় ১৬টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বামেরা। বৃহষ্পতিবার আলিমুদ্দিনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সহ দলের বরিষ্ঠ নেতারা। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ্যে আনেন তারা। ১০ মার্চ ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪২ টি আসনে দেখা গিয়েছিল ২৬টিই নতুন মুখ। তাহলে কী এবার সেই নতুন মুখ তুলে আনার পথেই হাটল বামেরা ? বামেদের ১৬টি প্রার্থীর মধ্যে নতুন মুখ ১৪টি। কোচবিহার থেকে লড়ছেন নতুন ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী নীতীশ চন্দ্র রায়। জলপাইগুড়ি থেকে সিপিএম প্রার্থী দেবনাথ বর্মন(নতুন)। বালুরঘাট থেকে আরএসপি প্রার্থী জয়দেব সিদ্ধান্ত(নতুন)।
দমদম থেকে প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। যাদবপুর থেকে সৃজন ভট্টাচার্য। কলকাতা দক্ষিণ থেকে সায়রা শাহ হালিম। কৃষ্ণনগর থেকে এস এম সাদি। আসানসোল থেকে জাহানারা খান। হাওড়া থেকে সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। বর্ধমান পূর্ব থেকে নীরব খাঁ। তমলুক থেকে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলি থেকে মনোদীপ ঘোষ। শ্রীরামপুর থেকে দীপ্সিতা ধর। বাঁকুড়া থেকে নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত। বিষ্ণুপুর থেকে শীতল কৈবর্ত। মেদিনীপুর থেকে বিপ্লব ভট্ট। প্রকাশিত হওয়া এই তালিকা নিয়ে অবশ্য বিরোধীদের তরফ থেকে তীর্যক মন্তব্যও ছুটে আসছে।
বামেরা কেন এতদিন নতুন মুখ আনেনি ? কেন গড্ডালিকা প্রবাহেই গা ভাসিয়ে গিয়েছেন তারা বছরের পর বছর ধরে ? এই প্রশ্নও ধেয়ে আসছে। অপরদিকে, যাদবপুর বা তমলুক বা শ্রীরামপুরের মতোন হাইভোল্টেজ কেন্দ্রগুলোতে সৃজন-সায়ন-দীপ্সিতাদেরই দরকার ছিল, এমনটাও এদিন জানিয়েছেন বিমান বসু। তবে, প্রার্থী তালিকা নিয়ে অবশ্য ক্ষোভ দেখিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কংগ্রেসকে না জানিয়ে প্রার্থী প্রকাশ করেছে বামেরা, এই অভিযোগ তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তবে, বাকি আসনের প্রার্থী তালিকা কবে ঘোষণা করা হবে, সেই বিষয়ে অবশ্য কিছু জানাননি বিমান বসু। আর সব মিলিয়ে, ১৯-এর নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে ২৪-এর নির্বাচনের ময়দানে বামেরা কতটা ঝোরো ব্যাটিং করে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে পারে, এখন সেটাই দেখার।