জ্যোর্তিময় সিংমাহাতো বনাম শান্তিরাম মাহাতো,পুরুলিয়া লোকসভার লড়াই এবার হাড্ডাহাড্ডি
The Purulia Lok Sabha battle is now tight

The Truth of Bengal: পুরুলিয়া লোকসভার লড়াই এবার বিজেপির কাছে টাফ ফাইট। কোন স্ট্রাটেজিতে জঙ্গলমহলের এই সংসদীয় কেন্দ্র গেরুয়া শিবিরের দখলে আসবে তাই নিয়ে বাড়ছে দোলাচল,বাড়ছে ধোঁয়াশা।পদ্মের কাঁটা, গেরুয়া বিদ্রোহ। সেই বিক্ষোভের মাঝেই জোর্তিময় সিং মাহাতোর ৫বছরের রিপোর্টকার্ডই এবার ভোটারদের মনের আয়নায় উঠে আসছে। বিজেপির সঙ্গে টক্করে এগিয়ে থাকতে আগেভাগেই ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো। জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো বনাম শান্তিরাম মাহাতোর ভোটের লড়াই পুরুলিয়ার আবহাওয়ার মতোই ভোটের আসরকেও তপ্ত করে তুলছে। দেওয়াল লিখন থেকে পথে পথে প্রচার জমে উঠছে। ২০১৯এর লোকসভা ভোটে কমিশনের কাছ থেকে মেলা তথ্যে জানা গেছে,
একনজরে পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্র
- পুরুলিয়ায় ৭টি বিধানসভা
- পুরুলিয়া,মানবাজার,বলরামপুর
- বাগমুন্ডি,কাশীপুর,জয়পুর,পাড়া
- মোট ভোটার-১৬,৪০,০০০
- পুরুষ ভোটারের সংখ্যা-৮৩০০০০
- মহিলা ভোটার প্রায় ৮১,০০০০
- ৭৫শতাংশ মানুষ কৃষক-শ্রমিক
২০২১ এর বিধানসভা ভোটে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে কাশীপুর আর পাড়া বাদে সবকটিতেই ফোটে ঘাসফুল।পদ্মের পায়ের তলার মাটি যে আলগা হচ্ছে তা স্পষ্ট হয়। এরমাঝে-ভোটারদের কাছে একটাই প্রশ্ন,৫বছর সময় নিয়ে সাংসদ করলেন কী ? কেন্দ্রের প্রকল্পের ফুলঝুড়ির ছিঁটেফোঁটাও কেন পুরুলিয়ার মানুষের ভাগ্যে সিঁকে ছিঁড়ল না?কেন পুরুলিয়ার মানুষের প্রত্যাশাপূরণ করতে পারল না ডবল ইঞ্জিনের কারিগররা? মূলতঃ জঙ্গলমহল অধ্যুষিত এই এলাকার মানুষকে মাঠে বা ছোট কারবারে শ্রম দিয়েই রোজগার করতে হয়,তাঁদের চাওয়া পাওয়ার ঝুলি ভরাতে বিজেপির সরকার কী বলার মতো কিছু করেছে ?
উনিশের জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানটা এবার একঝলকে দেখে নেব। সেসময় কিভাবে বিজেপি বনাম তৃণমূলের ফাইট হয়,কে কতটা এগিয়ে বা পিছিয়ে ছিল।
- ২০১৯এ বিজেপি প্রার্থী পান ৬৬,৮১,০৭ ভোট
- তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পান – ৪৬৩৩৭৫ ভোট
- কংগ্রেস প্রার্থী পান ৮৪৪৭৭ ভোট
- বাম প্রার্থী পেয়েছিলেন-৬৮৪৩৪ ভোট
গণতন্ত্রের এই রঙিন প্রচারে কিভাবে বিজেপি কমলের খেলা দেখাবে?
তৃণমূলের পাল্টা প্রচার,দিল্লিতে বাংলার হাত শক্ত করতে তাঁদেরই দরকার।কারণ বাংলার মানুষের কাজ আদায় করে আনতে ও বঞ্চনার রাজনীতির পতন ঘটাতে তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র বিকল্প বলেও সোচ্চার ঘাসফুল শিবির। তাই লালমাটির জেলায় গেরুয়া না সবুজ কার জোর বেশি,তা এখন জনতার হাতের দাঁড়িপাল্লায় ধরা দেবে।শাসক বনাম বিরোধীদের এই টক্করের মাঝে উত্তাপ যে বাড়ছে তা টের পাওয়া যাচ্ছে এই জঙ্গলমহল ও পুরুলিয়ার মাটিতে এলে।