
The Truth of Bengal: শুরুতেই কিছুটা এগিয়ে গেল তৃণমূল। সব দলের আগে সমস্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় সমাজের সবস্তরের প্রতিনিধিকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। তালিকায় রাজনীতি, শিক্ষা, বিনোদন জগতের পাশাপাশি জায়গা দেওয়া হয়েছে ক্রীড়াক্ষেত্র থেকেও। প্রার্থী করা হয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ ও ইউসুফ পাঠানকে। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে লড়াই করবেন প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। অন্যদিকে, বহরমপুর আসনে লড়বেন ইউসুফ পাঠান।
খেলা ছাড়ার পর ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে প্রবেশের উদাহরণ নতুন নয়। কেউ বিধানসভা বা কেউ লোকসভায় প্রার্থী হয়েছেন। অনেকে রাজ্যসভায় গিয়েছেন। তবে সরাসরি রাজনীতিতে প্রবেশ না করে লোকসভার টিকিট পাওয়ার উদাহরণ নেই। ইউসুফ পাঠান তৃণমূলে যোগ দেননি এতদিন। ফলে তাঁর নাম তৃণমূলের টিকিটে দেখে অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলার পর এবার এইরাজ্য থেকে নির্বাচনে লড়বেন তিনি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বহরমপুর অধীর চৌধুরির গড় হিসেবে পরিচিত। তাঁকে হারাতে এবার রাজনীতির ময়দানে আনকোরা মুখকে সুযোগ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন কীর্তি আজাদ। ১৯৮৩-র বিশ্বকাপে বিশ্বজয়ী টিমের সদস্য ছিলেন। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভগত ঝা আজাদের সন্তান তিনি। এর আগে তিনি বিজেপির তরফে সাংসদ হয়েছিলেন। পরে বিজেপি ছেড়ে দেন তিনি। সেই কীর্তি আজাদকে এবার বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। নাম ঘোষণার দিন রাতেই পৌঁছে যান বর্ধমানে। পরদিন নেমে পড়েন মাঠে।
দলের প্রার্থী তালিকায় বিভিন্ন জগৎ থেকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের সেই প্রার্থী তালিকায় বিশেষ চমক ইউসুফ পাঠান ও কীর্তি আজাদ। ইউসুফ পাঠানের জন্য লড়াইয়ের ময়দান একটি শক্ত হলেও তুলনামূলক নরম মাঠ পাচ্ছেন কীর্তি আজাদ।