কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষ হোক, এক দফায় ভোট করার দাবি তৃনমূলের
Trinamool demands to vote in one phase

The Truth Of Bengal : লোকসভা ভোটের আগে আইন শৃঙ্খলা সহ সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে রাজ্যে এসেছে কমিশনের প্রতিনিধিরা। ১৩ জন আধিকারিককে নিয়ে টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কমিশনের ফুলবেঞ্চের বৈঠক হয়। ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে দলগুলির কী কী করণীয়, আদর্শ আচরণবিধি অনুসারে কিভাবে সবদলকে চলতে হবে তা কমিশনের প্রতিনিধিরা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের কাছে স্পষ্ট করেন। এই বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে যোগ দেন দলের রাজ্যসভাপতি সুব্রত বক্সি, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও ব্রায়েন। ভোট যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয় সেজন্য তৃণমূল কংগ্রেস সবরকম সাহায্য করবে বলে কমিশনের কর্তাদের সামনে স্পষ্ট করেন। একইসঙ্গে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা পেশ করেন একাধিক দাবি।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোটের স্বার্থে মোতায়েন হোক পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাহিনীর বহর বাড়ানো হলেও কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু দফায় দফায় ভোট করে বিজেপির সুবিধা করা যাবে না। দিল্লির নেতাদের প্রচারের সুবিধায় একাধিক দফায় ভোট নয়। সবদিক বিবেচনা করে এক দফায় নির্বাচন করতে হবে। বাংলার মানুষের সুষ্ঠু ভোটদানের সুবিধার্থে একদফায় নির্বাচন জরুরি বলেও সওয়াল করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা।
অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচন ৮দফায় হয়। বিজেপির নেতাদের কথা মতো কমিশন সেই পথে হাঁটে তৃণমূলের অভিযোগ। একাধিক দফায় ভোট করে শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের সুবিধা করে দিচ্ছে। কেন সিআইএসএফকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি বাংলায় ভোটকে কলুষিত করছে সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তাই তৃণমূলের দাবিকে মানত্যা কমিশন দেয় কিনা সেটাই দেখার বিষয়। ভোট একদফায় না একাধিক দফায় হয় তাই এবার গুরুত্বপূর্ণ বলা যায়।
FREE ACCESS