এই হোটেলে প্রতিদিন খেতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, একবার খেলে স্বাদ লেগে থাকবে মুখে!

কলকাতা শহরের বুকে বাঙালি ঘরোয়া খাবারের এক চিলতে ঠিকানা হল ‘স্বাধীন ভারত হিন্দু হোটেল’। এই হোটেলটি কলকাতার ভবানী দত্ত লেনে অবস্থিত। স্বাধীনতার আগে এই হোটেলের নাম ছিল ‘হিন্দু হোটেল’।
এই হোটেলের ইতিহাস বেশ পুরনো। ১৯২৫ সালে ওড়িশার কটক থেকে চাকরির খোঁজে কলকাতায় আসা এক সদ্য যুবা মনগোবিন্দ পণ্ডা এই ঠিকানায় ভাতের হোটেলটি খুলেছিলেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই হোটেলটি কলকাতার বাঙালিদের কাছে জনপ্রিয়।
এই হোটেলের বিশেষত্ব হল এর খাবারের স্বাদ। এখানে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার রান্না করা হয়। হোটেলের মেনু কার্ডে রয়েছে পনেরো রকমের মাছের পদ, মুরগি, মাংসের পদ, সবজির পদ, এবং মিষ্টি। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ হল পুঁইশাকের চচ্চড়ি। শোনা যায়, এই হোটেলে ছাত্রজীবনে খেতে আসতেন স্বয়ং সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি এই পুঁইশাকের চচ্চড়ির ভক্ত ছিলেন।
হোটেলের পরিবেশও বেশ মনোরম। হোটেলের ভেতরে সাদা মার্বেল বাঁধানো কাঠের টেবিল, পুরনো দিনের কাঠের চেয়ার, এবং কলাপাতার পাত। দেওয়ালে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবি সযত্নে টাঙানো।
যারা কলকাতায় এসে বাঙালি ঘরোয়া খাবারের স্বাদ নিতে চান, তাদের জন্য ‘স্বাধীন ভারত হিন্দু হোটেল’ আদর্শ জায়গা।