শেষ হল ৪৭তম বইমেলা, বইপার্বণের বিদায়ে বিষাদ পাঠক মনে
The 47th book fair has ended

The Truth Of Bengal : এবছরের জন্য শেষ হল বইমেলা। আবার একবছরের জন্য বাঙালির অপেক্ষা বইপার্বণের। বুধবাধ মেলায় আসা বইপ্রেমীদের মনে বেজে ওঠে বিদায় বেলার সুর। গত কয়েকদিন জমজমাট ছিল সল্টলেকের বইমেলা প্রাঙ্গন। বইপ্রেমীদের ভিড়ে গমগম করছিল মেলার মাঠ। বুধবার বইমেলা প্রাঙ্গন হয়ে ওঠে ভাঙা মেলার হাট। মন খারাপ বইপ্রেমীদের। মন খারাপ লেখক-প্রকাশকদের।
বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল ৪৭তম অন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে রীতি মেনে বইমেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের থিম কান্ট্রি ছিল ব্রিটেন৷ প্রতিদিনি বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা খোলা ছিল। প্রায় প্রতীটি দিন বইপ্রেমীদের ভিড় উপচে পড়ে মেলায়। কলকাতার বইমেলা সংস্কৃতিমনস্ক মানুষের কাছে অন্যতম প্রধান পার্বণ৷ বইপ্রেমীরা সারাবছর এই মেলার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকেন। এবারের বইমেলায় ছোট, বড়, মাঝারি প্রকাশক ও লিটল ম্যাগাজিনের টেবিল মিলিয়ে মোট স্টলের সংখ্যা এক হাজার। মেলায় অংশগ্রহণ করে ভারতের প্রতিটি রাজ্য এবং মোট কুড়িটি দেশ। মেলার বিশেষ আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন৷ কোনওরকম সমস্যা ছাড়াই নির্বিঘ্নে শেষ হল এবারের বইমেলা।
মেলায় আসা মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহণের ব্যবস্থা রেখেছিল রাজ্য সরকার। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সহজেই মানুষ আসতে পারে মেলায়। সারাদিন ঘুরে পছন্দের বই কিনে নিয়ে বাড়ি ফেরে মানুষ। শেষ রবিবার উপচে পড়েছিল মেলা প্রাঙ্গন। মেলার মাঠে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। বছরে একবার হওয়া বইমেলায় একদিনের জন্য না এলে মনটা কেমন আনচান করে বাঙালির। কারণ উৎসবের তালিকায় জায়গা করে নেওয়া বইপার্বণকে বাঙালি অনেক আগেই জায়গা দিয়েছে হৃদয়ে। মেলার শেষ দিনে কবিগুরুর ভাষায় বইপ্রেমীরা মনে মনে বলে ওঠেন— ‘যেতে নাহি দিব / হায়, তবু যেতে দিতে হয়’।
FREE ACCESS